বরগুনার আমতলী উপজেলা ছাত্রলীগের নবগঠিত কমিটির সভাপতি মো. মাহাবুব উল ইসলামসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। আজ আমতলীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো হুমায়ূন কবির এই আদেশ দেন।
অন্য আসামিরা হলেন- তারিকুল ইসলাম টিপু, গাজী আব্দুল হালিম, মো. আশিকুল ইসলাম আসলাম এবং মো. শাহীন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর আমতলী শহরের ফেরীঘাট এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জেরে তালতলী উপজেলা ছাত্রলীগ কর্মী সাদ্দাম হোসেনের ওপর হামলা করে মাহবুবসহ অন্যান্যরা।
এ ঘটনায় সাদ্দাম হোসেন বাদি হয়ে ওই রাতেই আমতলী থানায় মাহবুবসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। পরে গত ৫ ফেব্রুয়ারি তদন্ত শেষে পুলিশ ৭ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে এবং জাকারিয়া নামে এক আসামিকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়।
আজ সোমবার এই মামলার ধার্য হাজিরায় অনুপস্থিত থাকায় মাহাবুবসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। অন্যদিকে, হাজিরায় উপস্থিত হয়ে আব্দুল্লাহ আল মামুন সবুজ ও মো. ইমরান জামিনের আবেদন করলে তা পরবর্তী ধার্য তারিখ পর্যন্ত মঞ্জুর করেন।
প্রসঙ্গত, গত ৯ এপ্রিল মাহাবুব উল ইসলামকে সভাপতি ও আব্দুল্লাহ আল মামুন সবুজকে সাধারণ সম্পাদক করে আমতলী উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করে বরগুনা জেলা ছাত্রলীগ।
কিন্তু এ কমিটিতে প্রকৃত ছাত্র নেতারা বঞ্চিত হয়েছেন এবং নতুন কমিটি মাদক ব্যবসায়ী, মাদক মামলার আসামি, অছাত্র, চাঁদাবাজ, অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে গঠিত- এমন অভিযোগ এনে ওই কমিটি বাতিলের দাবি করে ছাত্রলীগের বৃহদাংশের নেতা-কর্মীরা। তারা অবস্থান ধর্মঘট, সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ মিছিল, মশাল মিছিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন।
বর্তমানে জেলা ও কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে তারা এই কমিটি বাতিলের জন্য লিখিত অভিযোগ দিয়ে সাংগঠনিক প্রক্রিয়া চালাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন আন্দোলনরত ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ।
সুমন/অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর