রাঙামাটিতে বোরো ধানের বাম্পার ফলন

রাঙামাটিতে বোরো ধানের বাম্পার ফলন

Other

রাঙামাটিতে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এতেই খুসিতে ভাসছে কৃষক। একই সাথে ব্যস্ততা বেড়েছে কৃষাণ-কৃষাণীদের। ধান তোলার ধুম পরেছে জেলার উপজেলাগুলোতে।

জেলা কৃষি বিভাগ বলছে, উপযুক্ত আবহওয়া থাকায় লক্ষ্যমাত্রার অধিক উৎপাদন হয়েছে বোরো ধান। তাই চলতি বছর অর্থ সংকটে পরবে না কৃষকরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাঙামাটি জুরাছড়ি উপজেলায় এবার সবচেয়ে বেশি উৎপাদন হয়েছে বোরো ধান। শুষ্ক মৌসূমের জলে ভাসা জমিতে ধান চাষ করে লাভবান হয়েছে কৃষকরা।

কাপ্তাই হ্রদের জলে ভাসা জমিতে দেখা মিলছে এমন সবুজ ধানের সমারহ। চোখ জুরানো আর মন ভুলানো ধান দেখে যেমন কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। ঠিক তেমনি দেখা দিয়েছে নানা শঙ্কা। এক দিকে কাল বৈশাখী, অন্যদিকে করোনা ভাইরাসের প্রার্দুভাব। সব মিলে খুসির আকাশ ম্লান করেছে মেঘ। তবে তবুও জীবন যেন থেমে নেই।

দুযোর্গের আগেই নিরাপদে ধান মজুদ করছে কৃষকরা। রাঙামাটির জুরাছড়ি উপজেলার রাস্তার মাথা ও বনযোগীছড়া এলাকার কৃষক চৈতালী চাকমা ও জানান, সম্প্রতি রাঙামাটিতে মাত্রার অতিরিক্ত পানির স্থার নিচে নেমে গেছে। তাই কাপ্তাই হ্রদ জুড়ে ভেসে উঠেছে বিশাল বিশাল চর। এ চরে ধান চাষ করে ছিল কৃষকরা। সে ধানে ভরপুর এখন ডুবোচর। নিভির পরিচর্যার কারণে ফলনও হয়েছে ব্যাপক। এসব চরে শুধু ধান নয়, চাষাবাদ করা হয়েছে
তরমুজ ও বাঙ্গীর। হ্রদ কাছে থাকার কারণে খেতে পানি দিওে তেমন কোনো সমস্য হয়নি। তাই ফলন হয়েছে বাম্পার।

একই গ্রামের জ্ঞান রঞ্জন চাকমা জানান, ধানের ফলন বাম্পার হলেও মনে কিছু শঙ্কা থেকে যায়। ধান কাটার লোক নাই। করোনার কারণে কেউ কারো কাজ করতে চায় না। কাল বৈশাখির আগে ধান কাটা না হলে সব ধান জলে ভেসে যাবে। তখন লাভের চেয়ে গুনতে হবে লাখ টাকার লোকসান।

নাটোরের সিংড়ায় ৪ লাখ টাকা দামের একজোড়া মহিষ ছিনতাই

পায়েল ভোটে হেরে বললেন, এটা আমার শেষ নয়, শুরু

খালেদা জিয়া স্বাভাবিক শ্বাস প্রশ্বাস নিচ্ছেন: চিকিৎসক

হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতাসহ দুইজনের রিমান্ড

রাঙামাটি জুরাছড়ি কৃষি কর্মকর্তা সুস্মিতা চাকমা জানান, চলতি বছর ৪৬৮ হেক্টর জলেভাসা জমিতে বোরো ধান আবাদ হয়েছে। ধানও পাকাপক্ষ। সঠিক পরিচর্যার কারণে এমন ফলন পাওয়া সম্ভব হয়েছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকেও কৃষকদের যথেষ্ট সহযোগিতা করা হয়েছে। এবার শুধু জুরাছড়ি উপজেলা থেকে ২ হাজার ৮০ মেট্রিক টন ধানের চাল সংগ্রহ করা সম্ভব হবে।

রাঙামাটি জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষ্ণ প্রসাদ মল্লিক জানান, রাঙামাটি জেলার ১০টি উপজেলা মিলে জলে বাসা জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে ১৯০০ হেক্টর জমিতে। সরকারি ভাবে বোরো প্রনোদনার আওতায় কৃষকদের হাইব্রীড বীজ ধান ও বিনামূল্যে সার দেওয়া হয়েছে। ফলে বোরোতে এবার ভালো ফলন হয়েছে। এতে ৫ হাজার ৩২০ মেট্রিক টন চাল পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

news24bd.tv তৌহিদ