প্রশাসনের নাকের ডগায় চলে স্পিডবোটে যাত্রী পারাপার

Other

দাঁড়িয়ে থাকা বাল্কহেডে স্পিডবোটের ধাক্কায় ২৬ জন নিহতের ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। বুধবার সকাল থেকে কাজ করে জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটি। যাত্রীরা বলছেন, প্রশাসনের নাকের ডগায় চলাচল করে অবৈধ এসব নৌয্ন। এগুলোর পেছনে প্রভাবশালীরাই জড়িত।

স্পিডবোটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তদন্ত কমিটির সুপারিশ পর্যালোচনার আশ্বাস দিয়েছেন মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক।  

ঠিক কিভাবে একটি নোঙর করা বালুবাহী বাল্কহেডে স্পিডবোট আছড়ে পড়ে এবং ১২ জন ধারণক্ষমতার বোটে নিহতের সংখ্যা ২৬ হয়, তা তদন্তে কাজ শুরু করেছে জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটি। মঙ্গলবার গঠন করা ৬ সদস্যের কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বুধবার সকাল ১১টায়।

কমিটির আহ্বায়ক স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক আজাহারুল ইসলাম বলেন, এমন দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সব দিক বিবেচনায় প্রস্তাবনা দেয়া হবে।

এই পথে যাতায়াতকারিরা স্পিডবোট চালকদের দৌড়াত্মে অসহায়। অনেকে বলছেন, বাহনগুলোয় একজনের জায়গায় তিনজন যাত্রীও তোলা হয়। এসবের পেছনে প্রশাসন থেকে শুরু করে রাজনৈতিক প্রভাবশালীরাও জড়িত।

মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক তদন্ত কমিটির সুপারিশের অপেক্ষায়। তবে স্পিডবোট বন্ধের ব্যাপারে জোর দিয়েছেন তিনি।

নৌ দুর্ঘটনায় বিপুল যাত্রী নিহতের ঘটনা নতুন নয়। এসব ঘটনায় প্রতিবারই তদন্ত কমিটি গঠন হয়। তবে কমিটির সুপারিশ কতোটা বাস্তবায়ন হয় তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন থেকেই যায়।

news24bd.tv / কামরুল