চলমান লকডাউনে

ভয়াবহ কন্টেইনার জটের আশঙ্কা করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ

নিজস্ব প্রতিবেদক

লকডাউনে পণ্য খালাস কমে যাওয়ায় চট্টগ্রাম বন্দরে এখন থেকে কন্টেইনার জট। ঈদের টানা ছুটি আর চলমান লকডাউনে ভয়াবহ কন্টেইনার জটের আশঙ্কা করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। তাই ব্যবসায়ী সংগঠন, অফডক, এমনকি বড় বড় আমদানীকারকদের দ্রুত পণ্য খালাস করতে চিঠিও দিয়েছে তারা।

বিকডার সভাপতি নুরুল কাইয়ুম খান বলছেন,অফডকে জায়গা খালি।

আর আমদানি কারকরা বলছেন কাস্টমসের নানান জটিলতা দ্রুত পণ্য খালাসে বড় বাধা। এদিকে কাস্টমস কমিশনার বলছেন, অন্যায় আবদার দেখিয়ে দ্রুত পণ্য খালাস করতে গেলে কোন ছাড় নেই আমদানি কারকদের।  

চট্টগ্রাম বন্দরে প্রতিদিন সাড়ে তিন হাজার থেকে চার হাজার পণ্যবাহী কন্টেইনার ডেলিভারি হলেও করোনার চলমান লকডাউনে নেমে এসেছে ২ থেকে আড়াই হাজারে। পণ্য ডেলিভারি কমে যাওয়ায় দিন দিন বাড়ছে কন্টেইনার জট।

পণ্য খালাসে সবার সহযোগিতা চেয়ে আমদানিকারক ও অফডকসহ সংশ্লিষ্টদের চিঠি দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

অফডক কর্তৃপক্ষ বলছেন, খালি জায়গা থাকলেও নানান জটিলতার কারণেই আমদানিকারকরা ব্যবহার করছেনা। আর আমদানিকারকরা বলছেন কাস্টমসের গাফিলতি কিংবা সক্ষমতার অভাবেই ঝুলে যায় পুরো প্রক্রিয়া।

এদিকে কাস্টমস কমিশনার বলছেন, আইন এবং বিধির বাইরে পণ্য খালাস করতে আসলে ছাড় দেয়া হবেনা আমদানি কারকদের।

৪৯ হাজার টিউস কন্টেইনার ধারণক্ষমতাসম্পন্ন চট্টগ্রাম বন্দর টার্মিনালে এখন কন্টেইনার আছে ৩৮ হাজারের কাছাকাছি। এরপরও জেটি ও বহি: নোঙ্গোর মিলিয়ে পণ্য খালাসের অপেক্ষায় আছে অন্তত ৪০ টি জাহাজ।

news24bd.tv / কামরুল