এক্স-রে রিপোর্ট ভালো নয় খালেদা জিয়ার

এক্স-রে রিপোর্ট ভালো নয় খালেদা জিয়ার

অনলাইন ডেস্ক

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে করোনারি কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। গতকাল বুধবার তার শ্বাসকষ্ট বাড়লে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়ান চিকিৎসকরা। তা ছাড়া ফুসফুসে যে পানি জমেছিল, তা আগেই বের করা হয়েছে। খালেদা জিয়ার প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ লিটার অক্সিজেন লাগছে এবং তার এক্স-রে রিপোর্টও ভালো নয়।

বৃহস্পতিবার (৬ মে) সন্ধ্যায় খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড সূত্রে একথা জানা গেছে। এর আগে দুপুরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ওই মেডিকেল বোর্ডের বৈঠক হয়।

মেডিকেল বোর্ডের সূত্রটি জানায়, অসুস্থ খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুব বেশি দূরে না নিয়ে, কাছাকাছি কোনো দেশে নেওয়ার মতামত দিয়েছেন তারা। কারণ তার এক্স-রে রিপোর্টও ভালো নয়।

খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের বৈঠকে অংশ নেন অধ্যাপক ডা. এফ এম সিদ্দিকী, ডা. আল মামুন, ডা. এ জেড এম জাহিদ, ডা. আব্দুশ শাকুর খান, এভারকেয়ার হসপাতালের কনসালটেন্ট ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদার, ডা. সিনা, ডা. ফাহামিদা বেগম, ডা. মাসুম কামাল, ডা. আল মামুন, ডা. সাদিকুল ইসলাম এবং ডা. তামান্না অংশ নিয়েছেন।

বৈঠকে অনলাইনে যোগ দেয় লন্ডন, নিউইয়র্ক থেকে বিশেষজ্ঞ টিম। এছাড়া বৈঠকে যোগ দেন তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান।

এভারকেয়ার হাসপাতাল সূত্র জানায়, বৈঠকে খালেদা জিয়ার বুধবারের (৫ মে) রিপোর্টগুলো পর্যালোচনা করা হয়। বৈঠক শেষে মেডিকেল বোর্ডের এক সদস্য জানান, অসুস্থ খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় দিনে ৩ থেকে ৪ লিটার অক্সিজেন লাগছে। তাছাড়া, তার এক্স-রে রিপোর্ট পাওয়া গেছে, সেটিও ভালো নয়।

গত ১০ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনাভাইরাস পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। পরদিন সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি নিশ্চিত করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এরপর দ্রুত বক্ষব্যাধি ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এফ এম সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের সমন্বয়ে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়। তাদের তত্ত্বাবধানে গুলশানের বাসা ফিরোজায় তার চিকিৎসা চলছিল। দ্বিতীয়বার পরীক্ষাতেও তার রিপোর্ট পজিটিভ আসে।

এরপর গত ২৭ এপ্রিল খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাকে ৩-৪ দিন রাখার কথা বলেছিলেন তার চিকিৎসকেরা। এর মধ্যে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় সোমবার বিকেলে তাকে কেবিন থেকে সিসিইউতে (করোনারি কেয়ার ইউনিট) স্থানান্তর করা হয়। করোনার পাশাপাশি ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, রিউমেটিক আর্থ্রাইটিসসহ কয়েকটি রোগে ভুগছেন খালেদা জিয়া।

news24bd.tv/আলী