শত বছরের পুরনো বিয়ের রীতি ভাঙলেন ‘হার্ডকোর ফেমিনিস্ট’ যুবক

শত বছরের পুরনো বিয়ের রীতি ভাঙলেন ‘হার্ডকোর ফেমিনিস্ট’ যুবক

অনলাইন ডেস্ক

শত শত বছরের যে ভারতীয় বিবাহের রীতি রয়েছে তা পিতৃতান্ত্রিক। রীতি মেনে স্ত্রীর গলায় মঙ্গলসুত্র পরিয়ে দেন স্বামী। কিন্তু, শুধু নারীকেই কেন মঙ্গলসূত্র পরতে হবে?

তাই ভিন্ন এক বিয়ের পরিকল্পনা করেন তনুজা পাটিল এবং শার্দুল কদম। যে বিয়েতে তারা দুজনেই একে অপরের গলায় পরিয়ে দেবেন মঙ্গলসূত্র।

শার্দুলই প্রথম অভিনব এই প্রস্তাব দেন। এই প্রস্তাবে শার্দুলের পরিবারও অবাক হয়ে যায়।

কিন্তু নাছোড়াবান্দা শার্দুল ঠিকই মঙ্গলসূত্র পরে বিয়ে করেন। আর বিয়ের পরও সেই মঙ্গলসূত্র গলায় ঝুলিয়ে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন!

শার্দুল নিজেকে ‘হার্ডকোর ফেমেনিস্ট’ বলে দাবি করেন।

তার ভাষায়, একপাক্ষিক এই রীতির ‘কোনও অর্থ নেই’। চার বছর প্রেম করার পর ২০২০ সালের ডিসেম্বরে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন মুম্বাইয়ের এই জুটি।

তিনি বলেন, সাতপাক হওয়ার পর তনুজা এবং আমি একে অপরের গলায় মঙ্গলসূত্র বাঁধি। তখন আমার খুব আনন্দ হচ্ছিল।

কিন্তু শার্দুলের এমন কাজের কারণে অনেকের সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে তাকে। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক বকাঝকা এবং ট্রোলের শিকার হতে হয়েছে।


আরও পড়ুনঃ


ট্রিও মান্ডিলি: এক আধুনিক রূপকথার গল্প

রোজার সৌন্দর্যে ​মুগ্ধ হয়ে ভারতীয় তরুণীর ইসলাম গ্রহণ

আইপিএল নেই, বাড়ি ফিরে যা করতে চান কোহলি

এক সপ্তাহে বিশ্বে করোনা আক্রান্তের অর্ধেকই ভারতে, মৃত্যু এক-চতুর্থাংশ


শুধু তাই নয়, প্রথা ভাঙায় উদারপন্থী হিসেবে পরিচিতরাও তাদেরকে কথা শোনাতে ছাড়েন নি। তাদের ভাষায়, লিঙ্গ সমতাকে সমর্থন করার পথ নয় এটা।

কিন্তু আত্মীয়স্বজন এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের ট্রোলের পরও নিজের সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছেন শার্দুল।

news24bd.tv / নকিব