কক্সবাজারে পর্যটকদের আকৃষ্ট করছে ‘মিনি সুন্দরবন’

Other

কক্সবাজারে বঙ্গোপসাগর ও বাকঁখালী নদীর মিলন মোহনায় সবুজ আর জীববৈচিত্রের অপূর্ব প্রাকৃতিক স্থান প্যারাবনটি যেন ‘মিনি সুন্দরবন’। এই বনে রয়েছে বাইন, কেওড়াসহ নানা প্রজাতির অসংখ্য গাছ। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে সৈকতের নুনিয়াছড়ায় নির্মাণ করা হয়েছে পর্যবেক্ষণ টাওয়ার ও প্রাকৃতিক বিনোদন কেন্দ্র।  

সংশ্লিস্টরা বলছেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে সাগরের প্রাকৃতিক দেয়াল বা রক্ষা কবচ হিসাবে কাজ করছে পাশাপাশি জীববৈচিত্র্য রক্ষায়ও গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা রাখছে এই বনটি।

 

কক্সবাজারে বঙ্গোপসাগর ও বাকঁখালী নদীর মিলন মোহনায় ২০০৬ সালে প্রায় ৩১ একর জায়গা জুড়ে প্যারাবন সৃজনের উদ্যোগ নেয় বন ও পরিবেশ অধিদফতর। এই বনে রয়েছে বাইন, কেওড়াসহ নানা প্রজাতির অসংখ্য গাছ। এছাড়া পানকৌড়ি, মাছরাঙ্গাসহ সামুদ্রিক পাখি ও অতিথি পাখির বিচরণক্ষেত্রেও পরিণত হয়েছে এই বনটি।   

পর্যটকদের কাছে এই ‘মিনি সুন্দরবন’কে আকৃষ্ট করতে সৈকতের নুনিয়াছড়ায় নির্মাণ করা হয়েছে পর্যবেক্ষণ টাওয়ার ও প্রাকৃতিক বিনোদন কেন্দ্রও।

এছাড়া এখানে রয়েছে মিনি সামুদ্রিক মিউজিয়ামও। এসব কিছু রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে সংরক্ষণকর্মীরা।

 সংশ্লিস্টরা বলছেন, এ প্যারাবনটি প্রাকৃতিক দুর্যোগে রক্ষাকবচ হিসাবে কাজ করছে।   পাশাপাশি জীববৈচিত্য  রক্ষায়ও  গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা রাখছে।   

জলবায়ুর পরিবর্তনে গেল কয়েক বছরে বহুপ্রজাতির প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এই কারণে এই রকম বন সৃজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে সুফলও মিলেছে এমন দাবি এই কর্মকর্তার।  

অনেকটা সুন্দরবনের আদলে গড়ে তোলা এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যমণ্ডিত স্থানটি কক্সবাজার পর্যটন শিল্পে একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে বলেও মনে করেন অনেকে।

news24bd.tv / কামরুল