সোহরা্ওয়ার্দী উদ্যানের ব্যাপারে জনগণের মতামত নেওয়া সমীচীন

সোহরা্ওয়ার্দী উদ্যানের ব্যাপারে জনগণের মতামত নেওয়া সমীচীন

Other

ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। দেশ স্বাধীনতা থেকে পরবর্তী সময়ের অনেক ঘটনার সাক্ষী শান্ত স্নীগ্ধ এ জায়গাটি। এখানকার সবুজ বৃক্ষরাজি বিমোহিত করে মানুষকে। কর্মক্লান্ত বহু মানুষ এখানে হাঁটতে আসেন।

আসেন বেড়াতে। এই শহরে এ যেন অক্সিজেন নেওয়ার একটি নির্মল জায়গা। কিন্তু, সেই অক্সিজেনের ভাণ্ডার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অনেক গাছই কেটে ফেলা হচ্ছে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে।
পরিবেশবাদীরাও প্রতিবাদ করছেন। তবে, গাছ কাটা থেমে নেই।

এ ব্যাপারে মন্তব্য করেছেন নতুনদেশ’র প্রধান সম্পাদক, শওগাত আলী সাগর। তিনি এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন ‘সোহরা্ওয়ার্দী উদ্যান যেহেতু জনগণের ব্যবহারের জায়গা- এখানে যে কোনো ধরনের কাজ করার আগে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে জনগণকে অবহিত করা, তাদের মতামত নেওয়া সমীচীন। ’

তার স্ট্যাটাসটি পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-

সোহরাওয়ার্দী উদ্যান আগে ছিল রেসকোর্স ময়দান। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ এই রেসকোর্স ময়দানেই লাখো মানুষের মহাসমাবেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর ঐতিহাসিক ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’—ভাষণ দিয়েছিলেন। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছিল এখানেই। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ১৭ মার্চ ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সুহৃদ ইন্দিরা গান্ধী বাংলাদেশ সফরকালে এই রেসকোর্স ময়দানেই ভাষণ দিয়েছিলেন।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গাছ কাটা নিয়ে সরকারের কোনো বক্তব্য নেই? কারা, কেন গাছ কাটছেন, এই গাছ কাটার সিদ্ধান্ত কোন পর্যায়ে হয়েছে? সেই সিদ্ধান্ত গ্রহণপ্রক্রিয়ায় কারা ছিলেন, কেউ আপত্তি করেছিলেন কী না- এই সব বিষয়ে কোনো তথ্য কি কোথাও আছে? নিদেনপক্ষে- সোহরাওয়াদী উদ্যান নিয়ে সরকারের পরিকল্পনাটি আসলে কী - এই তথ্য!

সোহরা্ওয়ার্দী উদ্যান যেহেতু জনগণের ব্যবহারের জায়গা- এখানে যে কোনো ধরনের কাজ করার আগে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে জনগণকে অবহিত করা, তাদের মতামত নেওয়া সমীচীন। জনগণকে গুরুত্ব দিলে এটিই করার কথা।

বাই দ্যা ওয়ে, সোহরা্ওয়ার্দী উদ্যানে কী হচ্ছে- তা নিয়ে কোনো মাধ্যম কি বিস্তারিত কোনো রিপোর্ট করেছে? (হয়তো করেছে, আমার চোখ এড়িয়ে গেছে, সেজন্য জানতে চাওয়া)।

শওগাত আলী সাগর, প্রধান সম্পাদক, নতুনদেশ, কানাডা।

news24bd.tv তৌহিদ