ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার কামারগাঁও ইউনিয়নের বাহিরকান্দা গ্রামের নুরুল ইসলাম ওরফে ইসলাম বেপারীর বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তিনি চংনাপাড়া বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী ও ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
আওয়ামী লীগ নেতা হওয়ার সুবাদে ইসলাম বিভিন্ন সময় ভিজিএফ কার্ড, বিধবা ভাতার কার্ড, বয়স্ক ভাতার কার্ড, প্রসূতি কার্ড ইত্যাদি বিতরণের সুযোগ পেয়ে থাকেন। চেয়ারম্যান, মেম্বার ও নেতারা ওইসব কার্ড ভাগাভাগির সময় তাকেও দিয়ে থাকেন।
এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এলাকার সরলমনা লোকদেরকে কার্ড করে দিবে বলে, কোনো কোনো সময় বিদ্যুৎলাইন নামিয়ে দিবে বলে প্রচুর টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে ইসলামের বিরুদ্ধে। এছাড়াও বিভিন্ন সরকারি সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে গ্রামের সরল মানুষকে ভুল বুঝিয়ে প্রতারিত করার অভিযোগ রয়েছে।একই ওয়ার্ডের রাইজান গ্রামের ভুক্তভোগী ইনজর আলীর ছেলে ইলিয়াস আলী বলেন, আমার বৃদ্ধ বাবার নিকট থেকে মোটরের লাইন নামিয়ে দেওয়ার কথা বলে ২০ হাজার টাকা নেয়। আর ঘরের লাইন নামিয়ে দিতে নেয় ৫ হাজার টাকা।
প্রায়ই তিনি বলেন, ইসলাম টাকাটা নিল মোটরের লাইন নামিয়ে দিল না, টাকাটাও দিল না।
অভিনন্দনের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
গাছ উপড়ে পড়ল ঘরের ওপর, গেল স্বামী-স্ত্রীর প্রাণ
ঢাবি শিক্ষক-কর্মচারীদের ঈদ কর্মস্থলেই
এরা মানুষ না, অমানুষ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ইসলাম শুধু ইনজর আলীর নিকট থেকে নয় মোতলেব ও হেলালসহ বিভিন্নজনের নিকট থেকে প্রচুর টাকা তিনি হাতিয়ে নিয়েছেন। তিনি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা বলে প্রভাব খাটিয়ে চলেন। তার বিরুদ্ধে ভয়ে কেউ কথা বলতে পারে না। তার প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে তার ছেলেও কাপড়ের ব্যবসার আড়ালে মাদক ব্যবসা করে যাচ্ছেন বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কেউ কেউ বলেছেন। এসব দুর্নীতি ও অবৈধ ব্যবসার মাধ্যমে তিনি প্রচুর সম্পদের মালিক বনেছেন। উপজেলা শহরে জমি কিনে বাড়ি করেছেন বলেও জানা যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করে নুরুল ইসলাম বলেন, প্রায় ৫ বছর পূর্বে প্রাথমিক অবস্থায় বিদ্যুৎ একশ ভাগের আওতাধীনের আগে কিছু দালাল ফালাল আয়া বিদ্যুৎ নামিয়ে দেওয়ার কথা বলে টাকা পয়সা নিয়েছিল। টাকা কেউ দিছিন, কেউ দেয় নাই। কথাবার্তায় আমি তাদের সাথে জড়িত। তবে আমি কোন টাকা নেই নাই। এগুলো আমার সাথে বলে লাভ নাই।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, সে আমাদের দল করে, আওয়ামী লীগ করে। বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা যখন বিতরণ করা হয় তখন সেও দুয়েকটা কার্ড পায়। এগুলো বিতরণ করে।
এছাড়া সে বিদ্যুতের কামকাজও করছে। তবে তার নামে এ পর্যন্ত আমার নিকট কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব।