করোনার মধ্যেও বেড়েই চলছে প্রবাসী আয় ও রিজার্ভ এর পরিমাণ। প্রবাসী আয়ের এই ধারা অব্যাহত রাখতে আসছে বাজেটে রেমিট্যান্সের বিপরীতে প্রণোদনা দ্বিগুন করার দাবি জানিয়েছে প্রবাসী কল্যান মন্ত্রণালয়। যা কিছুটা বাড়ার ইঙ্গিত মিলেছে অর্থমন্ত্রণালয়ের কাছেও।
অর্থনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রবাসীদের পাঠানো বিপুল এই অর্থ উৎপাদনশীল খাতে কাজে লাগাতে বিশেষ বিনিয়োগ প্রশিক্ষণ কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন।
মহামারী করোনায় যখন চরম বিপর্যস্ত অর্থনীতির প্রায় সব খাত তখনও বছরজুড়ে বেড়েছে প্রবাসী আয়ের পরিমাণ। প্রবাসীদের শ্রম ও ঘামে অর্জিত অর্থের হাত ধরে দেশের রিজার্ভ পৌঁছেছে অন্য উচ্চতায়। যা ছুঁয়েছে ৪৫ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক।
প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ হুন্ডির মাধ্যমে বা অবৈধ পথে লেনদেন ঠৈকাতে গেল বাজেটে ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনা দেয়া হয়।
যা বাস্তবায়নে খরচ হবে অতিরিক্ত ৪ হাজার কোটি টাকা। হিসাব বলছে; চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ২০৬৬ কোটি ডলার। যেখানে ঈদ সামনে রেখে শুধু এপ্রিলেই এসেছে ২০৬ কোটি ডলার।
বিশ্লেষকরা বলছেন, রেকর্ড প্রবাসী আয় নিয়ে আত্মতুষ্টিতে ভুগলেও করোনাকালে যেসব শ্রমিক দেশে ফেরত এসেছেন তাদের কাজের সংস্থান করেনি সরকার। যা নিশ্চিত করার পাশাপাশি রেমিট্যান্সের অর্থ উৎপাদশীল কাজে বিনিয়োগ করতে বিশেষ প্রশিক্ষণের ওপর জোর দিচ্ছেন এই বিশেষজ্ঞরা।
বৈধ উপায়ে দেশে টাকা পাঠালে আসছে বাজেটে ৩ শতাংশ হারে প্রণোদনা দেয়া হতে পারে এমন পূর্বাভাস দিয়েছে অর্থমন্ত্রণালয়।
news24bd.tv / কামরুল