‍একুশ শতকের বৃক্ষ ‘নিম’ রোগ প্রতিরোধের উৎস

‍একুশ শতকের বৃক্ষ ‘নিম’ রোগ প্রতিরোধের উৎস

অনলাইন ডেস্ক

“রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি নিমপাতা অনেক রোগ নিরাময়েরও ক্ষমতা রাখে। ” তাই আদিকাল থেকেই ওষুধি গুণের কারণে নিম মানুষের আপন বৃক্ষে পরিণত হয়েছে। বহু গুণাগুণের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নিমকে “একুশ শতকের বৃক্ষ” বলে ঘোষণা করেছে।   করোনা রোধে টিকার পাশাপাশি প্রাকৃতিক উপাদানও বেশ উপকারী।

মেডিকেল নিউজ টুডের তথ্যানুযায়ী, নিম একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট যা ফ্রি  র‌্যাডিকেলগুলির  প্রভাবকে হ্রাস করে।

আয়ুর্বেদের মতে, নিম চিনি বা চিনির মিছরির সঙ্গে খেলে কাশি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। চাইলে প্রতিদিন একটি করে নিম ক্যাপসুলও নিতে পারেন। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি নিমপাতা অনেক রোগ নিরাময়েরও ক্ষমতা রাখে।

এটি লিভার এবং হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখে।

তিতা স্বাদের কারণে অনেকে নিম পাতার রস খেতে না চাইলেও প্রতিদিন সকালে খালি পেটে নিম পাতার রস খাওয়া শুধু শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় না, শারীরিক নানা অসুস্থতাও কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করে।

নিম পাতায় থাকা অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টি-ভাইরাল এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী রাখতে সহায়তা করে। এটি দেহের অভ্যন্তরে উপস্থিত অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়াকেও মেরে ফেলে। এটি পেট পরিষ্কার রাখে এবং সে কারণেই এটি ত্বকের জন্যও কার্যকর। নিম পাতা হজমের জন্যও উপকারী। এক কাপ নিমপাতায় ক্যালোরি থাকে ৩৫ গ্রাম। ফলে প্রতিদিন নিমপাতার রস খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে।

নিম পাতার নির্যাসে ডায়াবেটিস, ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার বৈশিষ্ট্য রয়েছে।  

নিম ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে চমৎকার ভাবে কাজ করে। নিমের পাতা রক্তের সুগার লেভেল কমতে সাহায্য করে। এছাড়াও রক্তনালীকে প্রসারিত করে রক্ত সংবহন উন্নত করে।  

প্রতিদিন কাঁচা পাতা পাওয়া না গেলে নিম পাতা ডাল থেকে ছড়িয়ে সিল-পাটায় বেটে মিহি করে নিতে হবে। এরপর ছোট ছোট বড়ি করে রোদে শুকিয়ে নিতে হবে। তারপর কাঁচের বোতলে এটি অনেকদিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়। এর গুণাগুণ ভালো থাকবে।  

news24bd.tv/আলী