ঈদের রাতের ফজিলত

ঈদের রাতের ফজিলত

অনলাইন ডেস্ক

সমগ্র মুসলিম উম্মাহের জন্য বছরে দু'টি দিন খুবই আনন্দের। একটি হলো রোজার ঈদ তথা ঈদুল ফিতর আর একটি হলো ঈদুল আযহা। নবী করিম (সা.) বলেন, ‘প্রতিটি জাতির উৎসব আছে, আমাদের উৎসব হলো এই দুই ঈদ’ (মুসলিম, তিরমিজি)। মুসলমানদের ধর্মীয় দুটি উৎসব—ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা।

ঈদের রাত শুধু আনন্দ-উৎসবের রাতই নয় বরং আল্লাহর নৈকট্য অর্জন ও সেতুবন্ধনের রাতও এটি। ঈদের রাতের ইবাদাত-বন্দেগির ফজিলত, গুরুত্ব ও মর্যাদা অনেক। এ ব্যাপারে হাদিসের অসংখ্য বর্ণনা রয়েছে।

ঈদের রাতের বড় প্রাপ্তি হলো, এ রাতে দোয়া কবুল করা হয়।

কোনো দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। বরং আল্লাহতায়ালার দরবারে তা সরাসরি কবুল হয়। তাই এ রাতের গুরুত্ব ও ফজিলত অপরিসীম।  

প্রথম ফজিলত: খোদার জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায় ঈদুল ফিতরের রাতে ইবাদতের মাধ্যমে। হজরত মুয়াজ ইবনে জাবাল (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি পাঁচটি রাত (ইবাদতের মাধ্যমে) জাগ্রত থাকবে তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে।  

এক. যিলহজ মাসের ৮ তারিখের রাত, দুই. যিলহজ মাসের ৯ তারিখের রাত (আরাফার রাত), তিন. ঈদুল আজহার রাত, চার. ইদুল ফিতরের রাত এবং পাঁচ. ১৫ শাবানের রাত। (আত তারগিব ওয়াত তারহিব লিল মুনজেরি ২/৯৮, হাদিস : ১৬৫৬)।  

দ্বিতীয় ফজিলত: ঈদের রাতে কৃত দোয়া ফিরিয়ে দেয়া হয় না। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বর্ণনা করেন, যে ব্যক্তি জুমার রাত, রজব মাসের প্রথম রাত, অর্ধ শাবানের রাত এবং দুই ঈদের রাতসহ এ পাঁচ রাতে কোনো দোয়া করে; সে রাতে তার কোনো আবেদনই ফিরিয়ে দেয়া হয় না। (মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক, হাদিস : ৭৯২৭)


মমতার মন্ত্রিসভায় শপথ নেবেন ৪৩ জন, নাম আছে ৬ মুসলিমের

সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি ৬ দিন বন্ধ

পদ্মার চরে জন্ম নেওয়া সেই শিশুর নাম দেওয়া হলো ‘পদ্মা’

১০ মে, ইতিহাসের এই দিনে


তৃতীয় ফজিলত: ঈদের রাতে ইবাদতকারীর অন্তর কিয়ামতের দিন মরবে না। হজরত আবু উমামা বাহেলি (রা.) বর্ণনা করেন, নবী (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি দুই ঈদের রাতে আল্লাহর কাছে সওয়াব প্রাপ্তির নিয়তে ইবাদত করবে তার হৃদয় সেদিনও জীবিত থাকবে যেদিন সকল হৃদয়ের মৃত্যু ঘটবে। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৭৮২)।  

অন্য বর্ণনায় রয়েছে, হজরত উবাদা ইবনে সামেত (রা.) থেকে বর্ণিত, যে ব্যক্তি ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহার রাতকে (ইবাদতের মাধ্যমে) জীবিত রাখবে তার অন্তর ওই দিন মরবে না যেদিন অন্যদের অন্তর মরে যাবে। (আল মুজামুল আওসাত ১/৫৭, হাদিস : ১৫৯)।  

ঈদুল ফিতরের রাতে ইবাদতে মশগুল থাকা মুস্তাহাব। যেমন হাদিসে এসেছে, নবীজি (সা.) এরশাদ করেন, রমজানের ব্যাপারে আমার উম্মতকে বিশেষভাবে পাঁচটি জিনিস দেয়া হয়েছে, যা পূর্বর্বী উম্মতগণ পায়নি। তন্মধ্যে একটি হল রমজানের শেষ রাতে রোজাদারদেরকে ক্ষমা করে দেয়া হয়।  

সাহাবায়ে কেরাম আরজ করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! ক্ষমার এই রাতটি শবে কদর নয় তো? নবীজি (সা.) বললেন, না, বরং শ্রমিকের কাজ শেষ হওয়ার পূর্বেই শ্রমের মজুরি দিয়ে দেয়া হয়। (মুসনাদে আহমদ)

news24bd.tv নাজিম

এই রকম আরও টপিক