“আইলারে নয়া দামান” গানটির কিছু কথা !

“আইলারে নয়া দামান” গানটির কিছু কথা !

Other

আমাদের দেশের শিল্পী ও ব্যবসায়ীদের প্রচলিত মোড়ল মানসিকতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। শুধু “আইলারে নয়া দামান” গানটির কথাই বলি। শুনলাম এই গানটি ৫০ বছরের বেশি সময় আগের।  

সংগীতজ্ঞ রামকানাই দাশ গানটি তার মা দিব্যময়ী দাশের রচনা বলে জানিয়েছেন এবং তিনি তার পুরনো রেকর্ডও শুনিয়েছেন।

মেধাস্বত্ব ও কপিরাইট আইন আনুসারে দিব্যময়ি মৃত্যুর ৬০ বছর পর্যন্ত এই গানটির কপিরাইট তার সন্তান সংগীতজ্ঞ রাম কানাই দাশ বা তার পরিবারের নামে।  

ছোট করে বলে রাখা ভালো মেধাস্বত্ব ও কপিরাইট দুটো ভিন্ন অধিকার ও আইন। মেধাস্বত্ব বিক্রি বা পরিবর্তন যোগ্য নয় কিন্তু চাইলে কপিরাইট হস্তান্তর বা বিক্রি করতে পারেবন। যেহেতু মুজা নতুন মিউজিক এরেঞ্জ করেছেন এবং তোশিবা কাভার গেয়েছেন আইন অনুসারে এই গানে মুজার র‍্যাপ অংশ ছাড়া অন্য অংশে অধিকার না থাকলেও এই গানের এই ভার্শনে তোশিবার পারফর্মিং রাইটস রয়েছে।

 

এরা দুজনেই বলেছেন যে গানটি তাদের নিজেদের লেখা বা সুর করা নয় তাহলে এতো ঝামেলা না করে রাম কানাই দাশ এর পরিবার মুজা এবং তোশিবার সাথে ৫/১০ বছরের কপিরাইট চুক্তি করে নিলেই ঝামেলা মিটে যেতো।

এখন পর্যন্ত এই গানে YouTube, Amazon, Spotify, Tiktalk, Facebook, Instagram এ যে মিলিয়নস Streaming হয়েছে তাতে ১৫/২০ হাজার ডলার রয়েলিটি পাওয়া খুব সাধারণ ঘটনা ছিল। মনে রাখতে হবে। এই যুগে মানুষ মরে গেলে তাকে মনে রাখে ৭ দিন আর গান হিট হলে ১৫/২০ দিনের বেশি না। তাই সম্মানের সাথে রয়েলিটি যোগ হলে দিব্যময়ি যেমন সম্মান পেতেন। মুজা এবং তোশিবাও হয়তো নতুন আরেকটা গান উপহার দেবার উৎসাহ পেতেন। বাংলা গানের একটা উদাহরণ ও তৈরি হতো।  

বাংলাদেশ ছাড়া পৃথিবীর সকল দেশেই গীতিকার, সুরকার, শিল্পী ও লেবেল প্রতিষ্ঠান গান থেকে আয়ের অংশ সমান ভাবে ভাগ করে নেন। শুধু বাংলাদেশেই যে কোন এক পক্ষ একাই রয়েলিটি দখল করতে চান। এই মানসিকতা লালন করে বলেই বাংলাদেশে সংগীত ইন্ডাস্ট্রি তৈরি হতে পারেনি। যদি এভাবেই চলে আরও ১০০ বছরেও পারবে না।

news24bd.tv / কামরুল