বাবুল আক্তার: বাদী থেকে প্রধান আসামি!

বাবুল আক্তার: বাদী থেকে প্রধান আসামি!

Other

স্ত্রী হত্যা মামলার বাদী ছিলেন তিনি। পাঁচ বছরের মাথায় তিনি আজ শ্বশুরের করা নতুন মামলায় স্ত্রী হত্যার অভিযোগে প্রধান আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার হয়েছেন। এ ঘটনা সচেতন ও চিন্তাশীল মানুষের মাথা ঘুরিয়ে দিয়েছে। এমন অবিশ্বাস্য ব্যাপারও যে ঘটতে পারে তা অনেকে ভাবতেই পারেননি!

সে সময় বাবুল আক্তারের কান্নার দৃশ্য দেখে অনেকে আর প্রতি সমবেদনা বোধ করেছিলেন।

তাকে বিশ্বাস করেছিলেন। কিন্তু এ কী কথা! সেই বাবুলই তাহলে স্ত্রী হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী? একজন সৎ ও কীর্তিমান অফিসার হিসেবে পরিচিত ও প্রশংসিত ব্যক্তি সম্পর্কে এমন কথা বিশ্বাস করাকে অন্যায় মনে করেছিলেন বেশির ভাগ মানুষ।

এমন ঘটনা সত্যি না হওয়াই কাম্য। আইন-শৃংখলা বাহিনির গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে এমন ছক আঁটা ও তা বাস্তবায়নে যে তিনি তার পদ ও এসংক্রান্ত সুবিধা কাজে লাগিয়েছিলেন তাতে সন্দেহ থাকার কথা নয়।

কী ভয়ংকর! ভাবতে গা শিউরে উঠছে। এটাই কি তার একমাত্র অপরাধ সংশ্লিষ্টতা? মনে হয় না।  

২০১৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি পরকীয়ার জের ধরে পুলিশের এক এসআই আকরাম হোসেনেকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে একটি মামলা  করা হয়। আকরামের বোন জান্নাতারা রিনি ঝিনাইদহ আদালতে মামলাটি করেন। এমামলার বিষয়টিও এখন নতুন করে বিশ্বাসযোগ্য বলে প্রতীয়মান হওয়া বিচিত্র নয়।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, এসআই আকরাম হোসেনের স্ত্রী বনানী বিনতে বছির বর্ণির সঙ্গে বাবুল আক্তারের পরকীয়ার জেরে ২০১৫ সালের ১৩ জানুয়ারি ঝিনাইদহের শৈলকুপায় মহাসড়কে মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয় আকরামকে। নিহত আকরাম হোসেন তখন বিমানবন্দরে স্পেশাল ব্রাঞ্চে কর্মরত ছিলেন।  

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুলের বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত হন। তাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়।  

ওই সময় পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। চট্টগ্রামে ফিরে তিনি পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। মামলায় তিনি বলেন, তার জঙ্গিবিরোধী কার্যক্রমের জন্য স্ত্রী হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়ে থাকতে পারেন।  

এরপর দেশব্যাপী জঙ্গিবিরোধী সাঁড়াশি অভিযান চালায় পুলিশ। ওই সময় বেশ কয়েকজন কথিত জঙ্গি বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। হত্যাকাণ্ডের পর বাবুল আক্তার প্রথমে ঢাকার মেরাদিয়া এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে উঠেছিলেন। শ্বশুর এসময় বাবুল আক্তারের পক্ষ নিয়ে কথা বলেছিলেন।

তবে সপ্তাহ দুয়েকের মাথায় মিতু হত্যার তদন্ত নতুন মোড় নেয়। বাবুল আক্তারের শ্বশুর মোশাররফ হোসেন ও শাশুড়ি সাহেদা মোশাররফ, বাবুল আক্তারই মিতুকে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ করেন। কিন্তু বাবুল আক্তার বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিলেন।

(ফেসবুক থেকে)

news24bd.tv / কামরুল