ঈদ উৎসব মধ্যপ্রাচ্যের দেশে দেশে, শোকের মাতমে ফিলিস্তিন!

ঈদ উৎসব মধ্যপ্রাচ্যের দেশে দেশে, শোকের মাতমে ফিলিস্তিন!

অনলাইন ডেস্ক

বৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করবে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো। আরব দেশগুলো যখন ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি ও উল্লাসের প্রস্তুতি নিচ্ছে, ঠিক তখন মধ্যপ্রাচ্যেরই আরেক দেশ ফিলিস্তিনে চলছে শোকের মাতম। ইসরাইলি সামরিক বাহিনী গত সোমবার (১১ মে) থেকে গাজায় বিমান হামলা চালাচ্ছে। এ হামলায় অনন্ত ৫৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

এই হামলায় ফিলিস্তিনের অলিগলিতে নেই কোনো উৎসবের আমেজ, দোকানপাট ছিল বন্ধ এবং রাস্তায় সুনসান নিরবতা। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর দফায় দফায় বিমান হামলায় ধংসস্তুপে পরিণত হয়েছে এলাকাটি। আর তাই এ বছর ঈদ উৎসব থেকে বিরত থাকবে ফিলিস্তিনবাসী।

তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদুলু এজেন্সি এক প্রতিবেদনে জানায়, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলা এ সংঘর্ষের কারণে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বৃহস্পতিবারের পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন বাতিল করেছেন।

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহতদের সম্মানে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ঈদ উদযাপন সীমিত করা ও জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। ফিলিস্তিনবাসী এবার শুধু ঈদের নামাজ আদায়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে।

উল্লেখ, ২০১৪ সালের পর এটিই ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যকার সবচেয়ে বড় সংঘর্ষ। সেবার সাত সপ্তাহের যুদ্ধে দুই হাজার ১০০ গাজাবাসী ও ৭৩ ইসরায়েলি নিহত হয়। এবারও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মহল।

জাতিসংঘ আশঙ্কা করছে পরিস্থিতি ‌‌একটা পূর্ণাঙ্গ মাত্রার যুদ্ধের দিকে যাচ্ছে।

জেরুসালেমের একটি এলাকায় ইসরায়েলি পুলিশ এবং ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সহিংস সংঘর্ষের জেরে কয়েক সপ্তাহ ধরে উত্তেজনা বিরাজ করার পর এই লড়াইয়ের সূত্রপাত হয়েছে।  

আল-আকসা মসজিদ মুসলমানদের জন্য বিশ্বের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান। তবে ইহুদিরা জায়গাটিকে তাদের নিজেদের উপাসনালয় হিসেবে দাবি করে।   ১৯৬৭ সালে আরব-ইসরায়েলের যুদ্ধের সময় পূর্ব জেরুজালেম দখল করে ইসরায়েল। এরপর ১৯৮০ সালে পুরো জেরুজালেম তাদের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। যা এখনও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকে স্বীকৃতি পায়নি।

news24bd.tv/আলী