যুদ্ধ বিরতিতে না, হামাসের সামরিক ক্ষমতা ধ্বংস চায় ইসরায়েল

যুদ্ধ বিরতিতে না, হামাসের সামরিক ক্ষমতা ধ্বংস চায় ইসরায়েল

অনলাইন ডেস্ক

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের চলমান হামলার সংঘাতের পঞ্চম দিনে এসে গাজায় হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েল। শুক্রবার গাজায় হামলায় স্থল ও বিমান বাহিনী অংশ নিয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। শুক্রবার (১৪ মে) ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসও রকেট হামলা বাড়িয়ে দিয়েছে। ইসরায়েল ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সব সামরিক ক্ষমতা ধ্বংস করতে চায়।

যুদ্ধবিরতির আগে হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপও নিতে চায় তারা।  

মিশরের একটি প্রতিনিধি দল ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। তবে ইসরায়েল থেকে কোনো ইতিবাচক সাড়া আসেনি। ডিপিএ সংবাদ সংস্থার বরাত দিয়ে আজ শুক্রবার এ খবর প্রকাশ করেছে আল জাজিরা।

 

গত সোমবার থেকে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত বোমা হামলায় ১১৯ জন মারা গেছে। আহত হয়েছে ৮০০ এর অধিক মানুষ। সহিংসতায় ৬ ইসরায়েলি ও এক ভারতীয় নাগরিকও মারা গেছে।  

সহিংসতা বন্ধে মধ্যস্থতার সব উদ্যোগ প্রত্যাখান করেছে ইসরায়েল। এমনকি সাময়িক সময়ের জন্যও তারা যুদ্ধবিরতিতে যেতে রাজি নয়।

সূত্রের বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানিয়েছে, ইসরায়েল ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সব সামরিক ক্ষমতা ধ্বংস করতে চায়। যুদ্ধবিরতির আগে হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপও নিতে চায় তারা।  

ইসরায়েল বাহিনীর পবিত্র আল আকসা মসজিদকে অবরুদ্ধ করে রাখাকে কেন্দ্র করে ইসরায়েলে রকেট নিক্ষেপ করেছিল ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। তারই জের ধরে গত সোমবার থেকে ফিলিস্তিনের গাজার বোমা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। আজ শুক্রবার বোমা হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। দেশটির প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছেন, ইসরায়েল রাষ্ট্রের শান্তি বজায় রাখার স্বার্থে এ হামলার প্রয়োজন রয়েছে।  

আল-আকসা মসজিদ মুসলমানদের জন্য বিশ্বের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান। তবে ইহুদিরা জায়গাটিকে তাদের নিজেদের উপাসনালয় হিসেবে দাবি করে।   ১৯৬৭ সালে আরব-ইসরায়েলের যুদ্ধের সময় পূর্ব জেরুজালেম দখল করে ইসরায়েল। এরপর ১৯৮০ সালে পুরো জেরুজালেম তাদের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। যা এখনও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকে স্বীকৃতি পায়নি।

news24bd.tv/আলী