ফিলিস্তিনের ‘আল কাসসাম ব্রিগেডের’ হামলায় নাজেহাল ইসরাইল (ভিডিও)

ফিলিস্তিনের ‘আল কাসসাম ব্রিগেডের’ হামলায় নাজেহাল ইসরাইল (ভিডিও)

অনলাইন ডেস্ক

ইসরাইলের হামলায় প্রতিদিনই মারা যাচ্ছে ফিলিস্তিনিরা। এরইমধ্যে নিহতের সংখ্যা শতাধিক ছাড়িয়েছে গেছে। ফিলিস্তিনও বসে নেই। তারাও পাল্টা হামলা চালাচ্ছে।

বৃষ্টির মতো রকেট ছুঁড়ছে দখলদারদের ওপর। ২০১৪ সালের পর ইহুদিবাদী ইসরাইলের উপর এটিই সবচেয়ে বড় হামলা হাসাসের।

শক্তির দিক থেকে পিছিয়ে নেই ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। আর এই সংগঠনের রয়েছে আরও শক্তিশালী সেনা সংগঠন ‘আল কাসসাম ব্রিগেড’।

১৯৯০ সালের আগে হামাসের এই সামরিক শাখা সবার কাছে অপরিচিত ছিল। কিন্তু সেই বছরই হঠাৎ করেই এই সামরিক শাখার কার্যক্রম উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পায়।

ব্রিটিশ সৈন্যদের গুলিতে ১৯৩৫ সালে ফিলিস্তিনের শহর ইয়া’বাদে নিহত হন সিরিয়ান মুক্তি আন্দোলনের নেতা ‘এজ্জেদিন-আল-কাসসাম’। তার নাম অনুসারে এ সামরিক শাখার নাম ‘আল-কাসসাম’ ব্রিগেড। হামাস প্রতিষ্ঠার অনেক আগে থেকেই আল-কাসসাম ব্রিগেড ভিন্ন নামে চলে আসছিল, যার মধ্যে রয়েছে- ‘ফিলিস্তিন মুজাহেদিন’ এবং ‘মাজদ’ এর মতো গ্রুপ।

সংগঠনটির ২০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে জানানো হয়, কেবল গাজাতেই তাদের সংখ্যা ১০ হাজারের বেশি। এটি একটি সত্যিকারের সেনাদল, যেটিতে সেনাদের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে কোম্পানি, ব্যাটালিয়ন এবং ব্রিগেড। আল-কাসাসামের নর্দার্ন গাজা ব্রিগেড, গাজা ব্রিগেড, সেন্ট্রাল গাজা ব্রিগেড এবং সাউর্দার্ন গাজা ব্রিগেড নামে চারটি ব্রিগেড আছে; যার মূল সৈন্য সংখ্যা অন্তত ৫০-৬০ হাজার।  

২০০১ সালের ২৬ অক্টোবর আল-কাসসাম ব্রিগেড স্থানীয়ভাবে তৈরি রকেট দিয়ে ইসরাইলে হামলা চালায়। এ রকেটের নাম ছিল ‘কাসসাম-১’। এ ঘটনা উল্লেখ করে টাইমস ম্যাগাজিন ‘একটি পুরোনো রকেট যেটি মধ্যপ্রাচ্যকে বদলে দিতে পারে’ নামে শিরোনাম করে। ২০০২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ব্যবহার করা হয় ‘কাসসাম-২’। এর মধ্যে ২০১২ সালের এক যুদ্ধে তারা এম-৭৫ ব্যবহার করে। এ সময় যুদ্ধে তারা ইসরাইলের হাইফা শহরকে লক্ষ্য করে আর-১৬৯ রকেট ব্যবহার করে।

আরও পড়ুন


হামলায় ইসরাইলের একক আধিপত্যের যুগ শেষ: হামাস

নামাজে মনোযোগ ঠিক রাখতে যে কাজগুলো জরুরি

যে ৫ আমল করলে জান্নাতের যাওয়ার পথ সহজ হবে

তুরস্ক চুপ করে থাকবে না, ইসরায়েলকে এরদোগান


বিশ্বের অন্যান্য দেশের সেনাবাহিনীর মতো আল-কাসসাম ব্রিগেডের ইঞ্জিনিয়ারিং, এরিয়াল, আর্টিলারি এবং আত্মঘাতী স্কোয়াড রয়েছে। ইসরাইলের সামরিক আগ্রাসন মোকাবিলার জন্য আল কাসসাম বিভিন্ন প্রযুক্তিগত উন্নতি সাধন করেছে। আল-কাসসামের মিলিটারি শাখা ‘আল-বাত্তার’, ‘আল-ইয়াসিন’ নামের কামান বিধ্বংসী গোলা তৈরি করে, যেটি ইসরাইলের সবচেয়ে শক্তিশালী মেরকাভা কামান ধ্বংস করতে সক্ষম।

ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন

এছাড়া তারা ইসরাইলের কিছু সেনাকে আটক করতে সক্ষম হয়, যার মধ্যে একজন ছিল গিলাত শালিত। ২০০৫ সালে কর্তব্য পালনরত অবস্থায় তারা তাকে আটক করে। ২০১১ সালে ১০৫০ জন বন্দি ফিলিস্তিনির বিনিময়ে তাকে মুক্তি দেয়। এই ব্রিগেড ২০০৮ এবং ২০১২ সালে গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের হামলার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে দখলদারদের অনেক ক্ষতি করে।  

আল-কাসসাম ব্রিগেডের বর্তমান প্রধানের মান মোহাম্মদ-আল-দেইফ। ইসরাইল একাধিক বার তাকে হত্যার চেষ্টা করেছে। তার নেতৃত্বেই আরও শক্তিশালী হয়ে ইসরাইলের নাজেহাল অবস্থা।

news24bd.tv আহমেদ