ঈদ শেষে ঢাকায় ফিরছে কর্মজীবী মানুষ। মাদারীপুরের বাংলাবাজার ফেরিঘাট দিয়ে আসছে অসংখ্য মানুষ। রোববার সকাল থেকে বাংলাবাজার ঘাটে কর্মজীবি মানুষের সংখ্যা বাড়তে থাকে। এছাড়াও শিমুলিয়া ঘাট থেকে আজও বাড়ি ফিরছেন অনেকেই।
বাংলাবাজর ঘাটের সহকারি ব্যবস্থাপক ভজন সাহা জানান, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে যাত্রাপথে দুটি ফেরিতে প্রচন্ড গরমে হুড়োহুড়িতে পদদলিত হয়ে ৫ জন মারা হওয়ার পর ফেরি সার্ভিসে গতি আনা হয়েছে। এই নৌরুটে বর্তমানে চলাচল করছে ১৫টি ফেরি। সকাল থেকে যাত্রীদের চাপ বাড়তে শুরু করলে ফেরিতে যাত্রীদের পারাপার করা হচ্ছে। এছাড়া পণ্যবাহী ট্রাক ও অ্যাম্বুলেন্সকে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে।
এদিকে দুরপাল্লার বাস বন্ধ থাকায় বিভিন্ন যানবাহনে ৩-৪ গুন বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার যাত্রীদের। অনেকেই বলছেন, গ্রামে গিয়েছিলাম বেশি ভাড়া দিয়ে আবার ঢাকাতেও যেতে হচ্ছে বেশি ভাড়া দিয়ে। দূর পাল্লার বাস চালু হলে এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হতো না বলে মত তাদের।
আরও পড়ুন
ফিলিস্তিনিতে ইসরাইলি হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৬৪
মাদারীপুরের শিবচরে যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার
তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে ঢাকায় লঙ্কানরা
এবার গাজায় হামলার প্রতিবাদে লন্ডনে ইসরাইলি দূতাবাস ঘেরাও
বরিশাল থেকে আসা শান্তা ইসলাম নামে এক কর্মজীবি নারী বলেন, আমরা অনেক কষ্ট করে ঘাটে এসেছি। আগামীকাল থেকে অফিস খোলা কি করবো? অনেক টাকা ভাড়া দিয়ে ঘাটে আসতে হয়েছে। সরকার যদি গণপরিবহন চালু রাখতো তাহলে অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হতো না।
সোহান নামে আরও এক যাত্রী বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা উচিত কিন্তু হাজার হাজার মানুষের মাঝে সেই সুযোগ নাই। আমাদের কারখানা খোলা আগামীকাল থেকে। তাই যেকোন উপায় যেতে হবে।
মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, ঘাটের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে একাধিক টিম কাজ করছে। তিনি নাগরিকদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহবান জানান।
news24bd.tv আহমেদ