ফিলিস্তিনি নারীকে ধর্ষণ : ইসরায়েলি সেই সৈন্য হামাসের হামলায় নিহত

ওমর তাবিব

ফিলিস্তিনি নারীকে ধর্ষণ : ইসরায়েলি সেই সৈন্য হামাসের হামলায় নিহত

অনলাইন ডেস্ক

গত কয়েকদিন ধরেই চলছে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘর্ষ। গত সোমবার (১০ মে) থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষ আজও চলছে এবং গাজায় বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর বোমা হামলায় রোববার (১৬ মে) ভোরে আরও ৩৩ জন ফিলিস্তনি নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে টানা সপ্তম দিনের মতো দখলদার বাহিনীর হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৮১ জনে দাঁড়িয়েছে।

ইসরায়েলের এই হামলার পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে হামাসও। হামাসের প্রতিরোধের মুখে এ অবধি এক সেনাসহ ১০ ইসরায়েলি নাগরিক নিহত হয়েছে।

জানা গেছে, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) নিহত ওই সৈন্য এর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে একজন ফিলিস্তিনি নারীকে ধর্ষণের বিষয়ে গর্ববোধ করেছিল।

তুর্কি গণমাধ্যম ডেইলি সাবাহ জানিয়েছে, গত বুধবার গাজা উপত্যকার কাছে এক অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ওমর তাবিব (২১) নামে এক ইসরায়েলি সৈন্য নিহত হয়।

যদিও দখলদার ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ হামাসকে ওই হামলার জন্য দায়ী করেছে যাতে তাবিব নিহত হয় এবং আরও একজন সৈন্য গুরুতর আহত হয়। আরেকজন অফিসারও হালকা আঘাতপ্রাপ্ত হন।

আইডিএফ তাবিবের মৃত্যুসংবাদ প্রচারের পর নেটিজেনরা তার সম্পর্কে ইন্টারনেটে অনুসন্ধান শুরু করে। আর তখনই তাবিবের টুইটার একাউন্ট ঘেটে জঘন্য এক তথ্য পাওয়া যায়।

২০১৯ সালের আগস্টের ৮ তারিখে এক টুইটে তাবিব নিজেই গর্ব করে বলেন, আমি এক ফিলস্তিনি নারীকে ধর্ষণ করেছি। তাবিব এবং অন্য ইসরাইলি সেনাদের মাদকাসক্ত এবং শিশু হত্যাকারী বলে জনৈক ফিলিস্তিনপন্থী টুইটার ব্যবহারকারী আক্রমণাত্মক পোস্ট করার পর তাবিব এ মন্তব্য করেছিলেন।

আর মাত্র কয়েক সপ্তাহ পরই তাবিবের অবসরে যাওয়ার কথা ছিল। বৃহস্পতিবার তাবিবকে উত্তর ইসরাইলে তার নিজ শহর ইলিয়াকিমে সমাধিস্থ করা হয় যেখানে মূলত ইয়েমেনি বংশোদ্ভূত ইহুদি অধিবাসীরা থাকেন।


প্রসঙ্গত, ইসরায়েল বাহিনীর পবিত্র আল আকসা মসজিদকে অবরুদ্ধ করে রাখাকে কেন্দ্র করে ইসরায়েলে রকেট নিক্ষেপ করেছিল ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। তারই জের ধরে গত সোমবার থেকে ফিলিস্তিনের গাজার বোমা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল।  

আল-আকসা মসজিদ মুসলমানদের জন্য বিশ্বের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান। তবে ইহুদিরা জায়গাটিকে তাদের নিজেদের উপাসনালয় হিসেবে দাবি করে।   ১৯৬৭ সালে আরব-ইসরায়েলের যুদ্ধের সময় পূর্ব জেরুজালেম দখল করে ইসরায়েল। এরপর ১৯৮০ সালে পুরো জেরুজালেম তাদের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। যা এখনও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকে স্বীকৃতি পায়নি।

news24bd.tv/আলী