ত্রিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের বাড়ি শেরপুরে চলছে শোকের মাতম

ত্রিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের বাড়ি শেরপুরে চলছে শোকের মাতম

Other

ময়মনসিংহের ত্রিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত একই পরিবারের তিনজনের বাড়ি শেরপুর সদর সদর উপজেলার চরশেরপুর ইউনিয়নের বাঘেরচর এলাকায় চলছে শোকের মাতম। কান্না থামছে না পরিবারটির সদস্যদের। তাদের কান্নাকাটি ও আহাজারিতে পরিবেশ ক্রমেই ভারি হয়ে উঠছে।

স্থানীয় ও স্বজনরা জানায়, ঈদের কিছুদিন আগে বাবার মৃত্যুর খবর শুনে ঢাকা থেকে বাড়ি আসেন শেরপুর সদর উপজেলার চরশেরপুর ইউনিয়নের বাঘেরচর গ্রামের সেকান্দর আলীর ছেলে আমান উল্লাহ (৩০), মেয়ে নাজমা (৩৫) ও নাজমার কন্যা লালমনি (৮)।

এদের মধ্যে আমানউল্লাহ ঢাকায় কাঁচামালের ব্যবসা, নাজমা বেগম তার স্বামী ইব্রাহিম ও সন্তান লালমনিকে নিয়ে ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। বাবা সেকান্দর আলীর দাফন শেষে আর ঢাকা যাননি তারা। পরে ঈদুল ফিতরের পর কর্মস্থলে ফিরতে সোমবার রাতে শেরপুর থেকে বেগুন ভর্তি একটি পিকআপ ভ্যানে করে বোন ও ভাগনিকে নিয়ে ঢাকায় রওনা দেয় আমান উল্লাহ। পথিমধ্যে ত্রিশালে পিকআপ ভ্যানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বালুভর্তি একটি ট্রাকের সাথে ধাক্কা লেগে ঘটনাস্থলেই ভাই আমান উল্লাহ, বোন নাজমা ও ভাগনি লালমনির মৃত্যুর হয়।
এ মৃত্যুর খবর পৌঁছার পর থেকেই পরিবারটিতে শুরু হয়েছে শোকের মাতম। থামছেই না তাদের কান্না। পাশাপাশি এলাকাতেও নেমে এসেছে শোকের ছায়া। তবে বিকেল ৪টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহতদের লাশ পৌঁছেনি বাড়িতে।

নিহত আমানউল্লাহর চাচাতো ভাই ফারুক আহমেদ জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তাদের পরিবারের ২ জন সদস্যকে ত্রিশালে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে আইনগত প্রক্রিয়া শেষে লাশ নিয়ে আসার পর আমান উল্লাহকে তার নিজ বাড়িতে বাবার কবরের পাশে এবং নাজমা ও লালমনিকে নাজমার শ্বশুরবাড়ি পার্শ্ববর্তী ইসলামপুর উপজেলার বেনুয়ারচর গ্রামে দাফন করা হবে।

news24bd.tv তৌহিদ

সম্পর্কিত খবর