চাপাবাজিকে সম্বল করে এরদোয়ান মুসলিম বিশ্বের নেতা

চাপাবাজিকে সম্বল করে এরদোয়ান মুসলিম বিশ্বের নেতা

Other

১. ইসরাইলের সাথে তুরস্কের বিরাট অংকের ব্যবসা-বাণিজ্য আছে, সেটা চলছে  চলবে এবং দিন দিন বাড়বাড়ন্ত। গাজায় হামলার জন্য এরদোয়ান কিন্ত বলে নাই ইসরাইলে সে কোন কিছু আমদানি-রপ্তানি কমিয়ে দেবে বা বন্ধ করবে। ইজরাইলি সৈন্যদের মিলিটারি বুট এবং ইউনিফর্মগুলি তুরস্কের সাপ্লাই করা।
এরদোয়ান ভালো করেই জানে practically যাই করুক মুসলিমদের পক্ষে একটু তর্জন গর্জন করলেই, তাদের ইমোশনে একটু ঘুটা দিতে পারলেই এই আবেগি জাতি তাকে নেতা হিসাবে মেনে নেবে, বাঘ নামে ভূষিত করবে।

২. এরদোয়ানের স্ত্রী রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মাথায় হাত বুলিয়ে কান্নাকাটি করে পুরো মুসলিম বিশ্বের হৃদয় জয় করে নিয়েছিল বিশেষ করে বাংলাদেশের মুসলমানদের। আয়রনি হলো কোন রোহিঙ্গাকে তুরস্ক আশ্রয় দিতে নিয়ে যায়নি। ইউরোপ, উত্তর আমেরিকার কিছু নন মুসলিম দেশে কিছুসংখ্যক রোহিঙ্গা কিন্তু ঠিকই আশ্রয় পেয়েছে। আর যা করার তা তো বাংলাদেশ ই করলো।

৩. বছর কয়েক আগে মুসলিম গণহত্যায় আইএসের নিষ্ঠুরতার কথা কারো ভুলে যাবার কথা নয়।
তারা যখন ইরাক সিরিয়ায় নিষ্ঠুরভাবে মুসলিমদের হত্যা করছিল, ইয়াজিদি নারীদেরকে ফতোয়া জারি করে বৈধ গণিমতের মাল হিসাবে উপভোগ করতে ছিল- এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, হ্যাশট্যাগতো দূরের কথা উল্টো IS এ যোগদানের জন্য বাংলাদেশসহ সারা বিশ্ব থেকে মুসলিম যুবক যুবতীরা তুরস্ক হয়ে ইরাক-সিরিয়া যাচ্ছিল।

এই আইএস ইজরাইল তুরস্কের সীমানা পর্যন্ত চষে বেড়িয়েছিল কিন্তু এ দুটি দেশে একটা পাথরও কখনো ছুড়ে মারেনি (আমি বলছি না পাথর ছোড়াটা উচিত ছিল, just IS এ join করা, তাতে যোগ দিতে ইচ্ছুক ছিল এমন বলদ গুলির insight কে প্রশ্ন করার জন্য বললাম)।

৪. আইএসের কাছ থেকে কম দামে চোরাই তেল ক্রয় করে বাণিজ্যিক ভাবে লাভবান হয়েছে এই এরদোয়ান, এই তুরস্ক।  
 ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পরে  ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে যায় IS। ইরাক-সিরিয়ার সৌভাগ্য আরব বসন্তের নাটের গুরু ওবামা ও হিলারি দৃশ্যপট থেকে বিদায় নিয়েছিল।

৫. এতকিছুর পরও শুধু তর্জন-গর্জন ও চাপাবাজিকে সম্বল করে এরদোয়ান মুসলিম বিশ্বের নেতা। তার fake হুংকারকে তুলনা করা হয় বাঘের গর্জনের সাথে। কেমন করে যেন সে বাংলার মুসলিমদের নমস্য।

ডা. আমিনুল ইসলাম

news24bd.tv/আলী