প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা দলবদ্ধভাবে একজন নাগরিকের সাথে মাস্তানী করেছেন

প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা দলবদ্ধভাবে একজন নাগরিকের সাথে মাস্তানী করেছেন

Other

হে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের  কর্মকর্তারা। রোজিনা ইসলাম যদি আপনাদের ভাষ্যমতো কোনো গোপনীয় নথি ‘চুরি’ করে থাকে, তা হলেও আপনারা তাকে আটকে রাখতে পারেন না, হেনস্তা করতে পারেন না।  

সচিবালয়ে পুলিশ আছে, আপনাদের কাজ হলো পুলিশ ডাকা। পুলিশ আইন অনুসারে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে হলে করবে।

কিন্তু দীর্ঘ সময় সচিবালয়ে তাকে আটকে রেখে আপনারা অপরাধ করেছেন। তার গায়ে হাত দিয়ে অপরাধ করেছেন। তাকে শারীরিক, মানসিকভাবে নিগৃহীত করে আইন নিজের হাতে তুলে নিয়েছেন, অপরাধ করেছেন।  

প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে দলবদ্ধভাবে রাষ্ট্রের একজন নাগরিকের সাথে মাস্তানী করেছেন, নিজেদের ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন।

 

সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম নয়, একজন নাগরিক রোজিনা ইসলাম সরকারি একটি দপ্তরে গিয়ে সংঘবদ্ধ মাস্তানীর শিকার হয়েছেন। এর প্রতিকার হওয়া দরকার।

সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এই ধরনের একটি মামলা হওয়া দরকার। মানবাধিকার নিয়ে কাজ করেন- এমন কোনো আইনজীবীও আদালতে এই মামলাটি করতে পারেন। সবচেয়ে ভালো হয়, সম্মানিত কোনো বিচারক যদি নিজে থেকে এই ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেন।
 
এটি কেবল সংবাদপত্রের স্বাধীনতার বিষয় নয়, কেবল মত প্রকাশের বিষয় নয়। এটি একজন নাগরিকের রাষ্ট্রীয় কোনো দপ্তরে নিজেকে নিরাপদ ভাববার বিষয়। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের সংঘবদ্ধ মাস্তানী বন্ধ করার বিষয়।

শওগাত আলী সাগর, প্রধান সম্পাদক, নতুনদেশ

(মত ভিন্ন মত বিভাগের লেখার আইনগত ও অন্যান্য দায় লেখকের নিজস্ব। এই বিভাগের কোনো লেখা সম্পাদকীয় নীতির প্রতিফলন নয়। )

news24bd.tv/আলী