সাংবাদিক রোজিনাকে আটকের নিন্দা ও মুক্তির দাবি স্পেন বাংলা প্রেসক্লাবের

সাংবাদিক রোজিনাকে আটকের নিন্দা ও মুক্তির দাবি স্পেন বাংলা প্রেসক্লাবের

Other

দৈনিক প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে শারিরিক ভাবে হেনস্থা ও ৬ ঘন্টা আটকে রাখা, পরে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে স্পেনে বাংলা গণমাধ্যমে প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন স্পেন বাংলা প্রেসক্লাব। স্পেন বাংলা প্রেসক্লাবের সভাপতি সাহাদুল সুহেদ ও সাধারণ সম্পাদক আফাজ জনি এক বিবৃতিতে রোজিনা ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তি ও ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

স্পেন বাংলা প্রেসক্লাবের সভাপতি সাহাদুল সুহেদ ও সাধারণ সম্পাদক আফাজ জনি বিবৃতিতে বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের গলা চেপে ধরে মূলতঃ মুক্ত গণমাধ্যমের গলা চেপে ধরেছে।

বিবৃতিতে সাংবাদিক নেতাদ্বয় বলেন, সাংবাদিক রোজিনার মত একজন পেশাদার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের এই ধরণের আচরণ মুক্ত সাংবাদিকতা ও সংবাদ-মাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য বড় বাধা।

যা দেশের গণতন্ত্রকে চরম ভাবে ব্যাহত করবে। ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা ও সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে নি:শর্ত মুক্তি, মামলা প্রত্যাহার এবং তাঁর উপর নির্যতনের ঘটনায় যারা জড়িত তাদের শাস্তির দাবি জানান স্পেন বাংলা প্রেসক্লাবের নেতৃদ্বয়।

 এ ছাড়া সংগঠনটির সিনিয়র সহসভাপতি বনি হায়দার মান্না, সাংগঠনিক সম্পাদক লোকমান হোসেন, কোষাধ্যক্ষ ফয়জুল হক রানা, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শিপলু নিয়াজী, সাহিত্য সম্পাদক জামিলা করিম, মহিলা সম্পাদক তারিনা জামান খান কাকন, প্রচার সম্পাদক লায়েবুর রহমান, কার্যকরী সদস্য মিরন নাজমুল, তুতিউর রহমান, কবির আল মাহমুদ, সাইফুল আমিন, ইসমাইল হোসেন রায়হান, মোশতাক আলী, ছালাহ উদ্দিন, সালেহ আহমদ সোহাগ, জান্নাতুল ফেরদৌস নিগার, আবিদ আহমদ চৌধুরী ও বাংলাদেশ সচিবালয় সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে আটকে রেখে হেনস্তা করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনকাল সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে সচিবালয়ে (স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিবের একান্ত সচিবের কক্ষে পাঁচ ঘণ্টা আটকে রেখে হেনস্তা করা ন্যাক্কারজনক।

দূর্নীতিতে জর্জরিত স্বাস্হ্য মন্ত্রণালয়ের সকল লুটপাট ও কলঙ্কের মধ্যে এটা একটি নিকৃষ্টতম ঘটনা। পাঁচ ঘন্টা অবরুদ্ধ থেকে রোজিনা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে না নিয়ে থানায় নেওয়া হয় এবং অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের ৩ ও ৫ ধারায় উল্টো অভিযোগ এনে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এটা অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা এবং মুক্ত গণমাধ্যমের প্রতি আক্রোশের প্রতিফলন। পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গেলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে রাখা অন্যায় ও অনভিপ্রেত। সাংবাদিক রোজিনাকে হেনস্তা করার পেছনে দায়ী ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে তাদের শাস্তি ও অবিলম্বে তার মুক্তির দাবি জানিয়েছেন প্রবাসী সাংবাদিকরা।

news24bd.tv/আলী