১৬ মে বিকেলে সাত বছরের ছেলে নিয়ে মোটরসাইকেলে ঘুরতে বের হন সাহিনুদ্দিন (৩৩)। তার পূর্বপরিচিত সুমন ব্যাপারী ও টিটু মুঠোফোনে সাহিনুদ্দিনকে পল্লবীর ডি–ব্লকে ডাকেন জমিজমা নিয়ে বিবাদ মীমাংসার জন্য।
সাহিনুদ্দিন সেখানে গেলে সুমন ব্যাপারী লাথি মেরে মোটরসাইকেল থেকে তাকে ফেলে দেন। এরপর ছেলের সামনেই তাকে সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে হত্যা করে।
গতকাল বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
র্যাব বলছে, পল্লবীর উত্তর কালশীর বুড়িরটেকের আলীনগর আবাসিক এলাকায় হাভেলি প্রপার্টি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড প্রতিষ্ঠা করে জমি দখল করতেই আউয়াল তাঁর ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে সাহিনুদ্দিনকে খুন করিয়েছেন।
৩১ সেকেন্ডের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, দুই তরুণ দুই পাশ থেকে এক ব্যক্তিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাচ্ছেন। একপর্যায়ে সাহিনুদ্দিন মাটিতে লুটে পড়েন। এরপর হামলাকারী একজন চলে যান। অপরজন সাহিনুদ্দিনের ঘাড়ে কোপাতে থাকেন মৃত্যু হওয়া পর্যন্ত।
রোমহর্ষ এ ঘটনা ঘটে গত রোববার বিকেলে রাজধানীর পল্লবীর ডি–ব্লকের ৩১ নম্বর রোডে।
এর আগে র্যাব বুধবার গভীর রাতে নরসিংদীর ভৈরবে অভিযান চালিয়ে সাবেক সাংসদ আউয়ালকে (৫০) গ্রেপ্তার করে। এর আগের রাতে চাঁদপুরের হাইমচর থেকে হাসান (১৯) ও পটুয়াখালীর বাউফল থেকে জহিরুল ইসলাম ওরফে বাবুকে (২৭) গ্রেপ্তার করে। সুমন ব্যাপারীসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এ নিয়ে ওই হত্যায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন:
খুলনা বিদ্যুৎকেন্দ্রে ৮৫ চীনা নাগরিক করোনায় আক্রান্ত, আতঙ্কে এলাকাবাসী |
উল্লেখ্য, এম এ আউয়াল বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশনের মহাসচিব ছিলেন। দশম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট থেকে মনোনয়ন পেয়ে তিনি লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালে তরীকত ফেডারেশন থেকে বহিষ্কারের পর আউয়াল ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টি নামের একটি দল গঠন করেন। তিনি ওই দলের চেয়ারম্যান।
news24bd.tv নাজিম