১১ দিনের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টা থেকে ইহুদিবাদী ইসরাইল ও ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের মধ্যকার যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। তারপর থেকেই ফিলিস্তিনের সর্বত্র বিজয় মিছিল হয়েছে।
যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকরের পরপরই গাজা, পূর্ব জেরুজালেমসহ ফিলিস্তিনের বিভিন্ন শহরের মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন। এসময় মহান আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে নানা শ্লোগান নেন।
আতশবাজিতে আলোকিত হয়ে ওঠে আকাশ।বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, হামাসের নেতারা বিজয় ভাষণ শুরু করেন ঈদের খুতবা দিয়ে। মঞ্চের সামনের দাঁড়িয়ে থাকা জনতা ঈদের তাকবীর দিতে শোনা যায়।
গাজা উপত্যকা হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা খলিল আল-হাইয়া তার ভাষণের শুরুতেই তাকবির দেন।
ইহুদিবাদী ইসরাইলের মন্ত্রিসভা গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা করার বিষয়টি মেনে নিতে বাধ্য হয়। ওই মন্ত্রিসভা বলেছে, তারা যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে ‘মিশরীয় প্রস্তাব’ মেনে নিয়েছে।
আরও পড়ুন
ছেলের সামনে বাবাকে হত্যা: আউয়ালের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ সুন্দরবনে সুপেয় পানির চাহিদা মেটাতে চলছে ৮০টি পুকুর খনন কাজ |
গাজায় হামলা বন্ধের পাশাপাশি আল-আকসা মসজিদ ও শেখ জাররাহ এলাকা থেকে সেনা সরিয়ে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ইসরাইল। হামাসের পলিটিক্যাল ব্যুরোর প্রধানের গণমাধ্যম বিষয়ক উপদেষ্টা তাহের আল-নুনু গাজায় সাংবাদিকদের বলেছেন, তেল আবিব যতক্ষণ পর্যন্ত শর্ত মেনে চলবে ততক্ষণ পর্যন্ত হামাসও যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন করবে।
গত ৭ মে পবিত্র মাহে রমজানের শেষ শুক্রবার বিশ্ব কুদস দিবসে বিপুল মুসল্লি আল-আকসা মসজিদে সমবেত হলে ইসরাইলি বাহিনী তাদের হামলা চালায়। মসজিদে ঢুকে মুসল্লিদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে বর্বর ইসরাইলি বাহিনী। এর দুদিন পর পবিত্র শবে কদরেও আল-আকসা মসজিদে ইসরাইলি বাহিনীর সঙ্গে মুসল্লিদের সংঘর্ষ হয়। এর প্রতিবাদে গাজা সীমান্তে বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে গত ১০ মে থেকে গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরাইল। ফিলিস্তিনিরা রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তোলে। তীব্র প্রতিরোধের মুখে অবশেষে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সই করতে বাধ্য হয় দখলদার ইসরাইল সরকার। সূত্র: পার্সটুডে।
news24bd.tv আহমেদ