রাজনৈতিক টানাপোড়েনের জের ধরে নেপালে পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারী। শুক্রবার (২১ মে) রাতে পার্লামেন্ট ভেঙে দেন তিনি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়, শুক্রবারের (২১ মে) মধ্যে নতুন সরকার গঠনের সময়সীমা বেঁধে দেন প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারী।
কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী কে. পি. শর্মা অলি বা বিরোধীদলের নেতা শের বাহাদুর দেউবার কেউই এই সময়ের মধ্যে নতুন সরকার গঠনের মতো সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেননি। এ কারণে শুক্রবার মধ্যরাতে হঠাৎ করে সংসদ ভেঙে দিয়ে আগামী নভেম্বর সাধারণ নির্বাচনের ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট।প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবীর পক্ষ থেকে দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়, আগামী ১২ নভেম্বরের মধ্যে সাধারণ নির্বাচনের প্রথম ধাপ ও ১৯ নভেম্বরের মধ্যে দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন সম্পন্ন করার আদেশ দিয়ে হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভ ভেঙে দিলেন প্রেসিডেন্ট।
এতে আরও বলা হয়, তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী কে. পি. শর্মা অলির নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভার সুপারিশক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তবে প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারীর আকস্মিক এই ঘোষণার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি।
আরও পড়ুন:
ইরানের প্রতি ‘কৃতজ্ঞতা’ জানাল হামাস চীনের আরও ৬ লাখ টিকা পাচ্ছে বাংলাদেশ ইসরায়েলকে সন্ত্রাসী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত শান্ত হব না: এরদোয়ান |
উল্লেখ্য, সম্প্রতি সংসদের আস্থাভোটে পরাজিত হয়েছিলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি। তারপর থেকেই নেপালে রাজনৈতিক টানাপোড়েন চলছে। পরবর্তী সরকার গঠন নিয়ে কৌশল সাজাচ্ছিল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। এই পরিস্থিতিতে নতুন সরকার গড়তে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারী।
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন নেপালি কংগ্রেসের নেতা শের বাহাদুর দেউবা। কিন্তু নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা ‘প্রচণ্ড’ ওরফে পুষ্পকমল দহলের সমর্থন পেলেও জনতা সমাজবাদী পার্টির সমর্থন পেতে ব্যর্থ হন তিনি। যার কারণে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে ব্যর্থ হন তিনি।
প্রসঙ্গত, নেপালি পার্লামেন্টে কংগ্রেসের ৬১ এবং প্রচণ্ডের দলের ৪৯ জন সংসদ সদস্য ছিলেন। তবে এদের সম্মিলিত ১১০টি আসন সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পক্ষে যথেষ্ট নয়। ২৭৫ আসনের নেপালি পার্লামেন্টে বর্তমানে ২৭১ জন সদস্য রয়েছেন। ফলে ম্যাজিক ফিগার ছিল ১৩৬। ওলিকে সমর্থন জানান ১২১ জন সংসদ সদস্য।
news24bd.tv নাজিম