মাশরুমে বদলেছে ভাগ্য

Other

দেশজুড়ে মাশরুমের চাষ কমে আসলেও এরমধ্যেই অনেকে ভাগ্য বদলাচ্ছেন এই কৃষিপণ্যে। কুড়িগ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় মাশরুমের উদ্যোগ নিয়ে এখন উদাহরণ গড়েছেন আমিনুল ইসলাম নামে এক যুবক। মাশরুমের উপকারিতা সঠিকভাবে প্রচার ও বাজারজাত ব্যবস্থা আধুনিক করা গেলে গ্রামীণ জনপদে অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে বলে মনে করেন কুড়িগ্রামের সচেতন নাগরিকেরা।

কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারি উপজেলার আমিনুল ইসলাম একসময় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন।

করোনাকালে সেই চাকরি হারিয়ে পুরোদস্তুর মাশরুম চাষি তিনি। গেল নভেম্বরে বগুড়া থেকে মাশরুম চাষের প্রশিক্ষণ নেন আমিনুল। ডিসেম্বরেই লাখ খানেক টাকা খরচ করে অবকাঠামো তৈরি করেন। প্রাথমিক উৎপাদন শুরু করতে মাশরুমের ৬শ বীজ ব্যবহার করেন তিনি।

আমিনুল এখন মাশরুম নিয়ে বড় স্বপ্ন দেখেন। কারন ফেব্রুয়ারির প্রথম চালানেই তার বিক্রি হয়েছে ৮০ হাজার টাকার পণ্য। এই উদ্যোক্তার দাবি, সরকারি-বেসরকারিভাবে বাজারজাতের উদ্যোগ নিলে গ্রামীণ অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে মাশরুম।

এখান থেকে বগুড়া, রাজশাহী, সিলেট ও ঢাকায় মাশরুম যায়। স্থানীয় কিছু দরিদ্র মানুষের আয় রোজগারের পথও দেখিয়েছে আমিনুলের এই উদ্যোগ।

মাশরুমের মতো স্বল্প পুঁজির ব্যবসা কুড়িগ্রামের হতদরিদ্র মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করেন সচেতনরা। তবে এর জন্য সরকারি উদ্যোগ জরুরি বলছেন তারা।

আরও পড়ুন:

 বঙ্গবন্ধু ‘জুলিও ক্যুরি’ শান্তি পদক প্রাপ্তির ৪৮তম বার্ষিকী আজ​ 

 ঘূর্ণিঝড়ের নাম বিতর্ক: যশ, ইয়াশ না ইয়াস?

 পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে ক্ষেপে গেলেন সিএনএন’র সাংবাদিক

  কবিরা গুনাহের পরিচয় ও পরিণতি

মাশরুম বাজারজাতের কৌশল আধুনিক হলে বিক্রি বাড়বে বলে মনে করেন কৃষি কর্মকর্তারা। মাশরুম চাষ জনপ্রিয় করতে ১৯৭৯-৮০ সালে মাশরুম উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে সরকার। তবে নানা কারণে সেই প্রকল্প এখন মুখ থুবড়ে পড়েছে।

news24bd.tv নাজিম