রিসোর্টে বেড়াতে গিয়ে এক গৃহবধূ (২০) গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে নদী বাড়ি নামক রিসোর্টে শাকিল ও তার সহযোগী মহিনউদ্দিন কৌশলে রিসোর্টের পাশের একটি বালুর মাঠে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে কয়েকবার ধর্ষণ করে। পরে একই রাতে পাশের রান্ধুনীমুড়া গ্রামে শাকিলের খালার বাড়িতে তাকে নিয়ে যায়। সেখানে ইউসুফের ছেলে ইসমাইল (৩২) ও তার ছোট ভাই কালু (২১) মিলে ওই নারীকে ফের কয়েকবার ধর্ষণ করে।
গত শনিবার (২২ মে) চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের ‘নদী বাড়ি’ নামে একটি রিসোর্টে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রোববার (২৩ মে) রাতে ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে হাজীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।
পরে সোমবার (২৪ মে) ভোরে মামলায় অভিযুক্ত আসামি আবদুল মান্নানের ছেলে মহিনউদ্দিন (২৬) এবং একই গ্রামের দুলাল মিয়াজীর ছেলে শাকিল হোসেনকে (২৪) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অপর দুই আসামি পলাতক রয়েছেন।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হারুনুর রশিদ জানান, ওই গৃহবধূ শনিবার ‘নদী বাড়ি’ নামে একটি রিসোর্টে ঘুরতে যান। সেখানে শাকিল নামে এক যুবকের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এরই মধ্যে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসায় ওই নারী বাড়ি চলে যেতে চান। কিন্তু শাকিল ও তার সহযোগী মহিনউদ্দিন কৌশলে রিসোর্টের পাশের একটি বালুর মাঠে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে কয়েকবার ধর্ষণ করে। পরে একই রাতে পাশের রান্ধুনীমুড়া গ্রামে শাকিলের খালার বাড়িতে তাকে নিয়ে যাওয়া হয। সেখানে ইউসুফের ছেলে ইসমাইল (৩২) ও তার ছোট ভাই কালু (২১) মিলে ওই নারীকে ফের কয়েকবার ধর্ষণ করে।
তিনি আরও জানান, পরের দিন সকালে ধর্ষণকারীরা তাকে রাস্তার পাশে মাঠে ফেলে যায়। স্থানীয়রা বিষয়টি দেখে থানা পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
চাঁদপুর জেলা পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ জানান, সোমবার ওই নারীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে গ্রেফতার হওয়া আসামিরা অভিযোগ স্বীকার করায় আদালতের মাধ্যমে তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অপর দুই আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
news24bd.tv/আলী