ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে তলিয়ে গেছে সুন্দরবন। ম্যানগ্রোভ এই বনের দুবলায় ৫ ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে। সুন্দরবনের সব থেকে উচু এলাকা করমজল বন্যপ্রানী প্রজনন কেন্দ্রেও পানিতে তলিয়ে গেছে। তবে এই কেন্দ্রের বন্যপ্রানীগুলো এখনো নিরাপদ রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে ফুঁসে উঠেছে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে নদ-নদী। পানিতে তলিয়ে গেছে জেলার শত-শত বাড়ী-ঘর। প্লাবিত হয়েছে বাগেরহাট শহরের রাস্তাঘাটও। তলিয়ে গেছে মোরেলগঞ্জ উপজেলা সদরের বাজার।
রাতের জোয়ারে আরো বেশি পানি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই অবস্থায় হুমকির মুখে রয়েছে জেলার হাজার-হাজার চিংড়ি খামার।
সুন্দরবনের দুবলা জেলে পল্লী টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রহ্লাদ চন্দ্র রায় জানিয়েছেন, সুন্দরবনের দুবলায় ৫ ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে। দুবলায় সকাল থেকেই প্রচন্ড ঝড়ো হাওয়া বইছে। মাঝে মাঝে বৃষ্টিও হচ্ছে। দুবলা টহল ফাঁড়ির ১০জন ষ্টাফ দুবলা সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নিয়েছেন। সুন্দরবনে অন্যান্য বন অফিসের সদস্যরাও সুন্দরবনের কোস্টগার্ডের আলোরকোল, কোকিল মনি, সুপতি ও ডুমুরিয়া ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে।
আরও পড়ুন
ফিলিস্তিনে নিপীড়ন নিয়ে সাবেক ইসরায়েলি পাইলটের স্বীকারোক্তি
ইসরায়েলকে বিভ্রান্ত করতে হামাসের নতুন কৌশল
রাশিয়ার সামরিক বাহিনীতে যোগ হচ্ছে যুদ্ধ-রোবট, গণ উৎপাদন শুরু
নাগরিকদের সিনোফার্ম টিকার তৃতীয় ডোজ দেয়ার ঘোষণা আমিরাত-বাহরাইনের
সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রানী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির জানান, করমজল বন্যপ্রানী প্রজনন কেন্দ্রে এক থেকে দেড় ফুট পানি উঠেছে। আরো এক ফুট পানি উঠলেও এই প্রজনন কেন্দ্রর বন্যপ্রানী হরিণ, কুমির ও বিলুপ্তপ্রজাতির কচ্ছপ বাটাগুল বাচকা রক্ষা করা আমদের জন্য সম্ভব হবে। পানি আরো বাড়লে বন্যপ্রানীগুলোর কি আবস্থা হবে তা বলা সম্ভব নয়।
news24bd.tv / নকিব