মাথার খুলি-মগজবিহীন সেই শিশুটি মারা গেছে!

মাথার খুলি-মগজবিহীন সেই শিশুটি মারা গেছে!

অনলাইন ডেস্ক

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে মাথার খুলি ও মগজ ছাড়া জন্ম সেই কন্যা শিশুটি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।

মঙ্গলবার (২৫ মে) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের শিশু বিভাগে সেই বিরল শিশুটির মৃত্যু হয়।

গতকাল জন্ম নেয়া সেই বিরল কন্যা শিশুটি জন্মের পর কিছুটা সুস্থ থাকলেও মঙ্গলবার সকাল থেকে শিশুটি আর নড়াচড়া করেনি। পরে বিকেলে শিশুটি মারা যায়।

শিশুটি নাসিরনগর উপজেলার বলাকুট ইউনিয়নের বলাকুট গ্রামের তানজিনা বেগম ও জসিম উদ্দিন দম্পতির প্রথম সন্তান ছিল।  

হাসপাতাল সূত্র জানায়, সোমবার মাথার খুলি ও মগজবিহীন অদ্ভুত এক শিশুর জন্ম হয়েছে। সোমবার বিকেলে হাসপাতালে তানজিনা বেগম নামে এক নারী ওই শিশুর জন্ম দেন। শিশুটি তখন সুস্থ আছে বলে জানান চিকিৎসকরা।

 

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, ফলিক এসিডের অভাবে অথবা প্রসূতি যদি নেশাগ্রস্ত থাকেন, তাহলে এমন অদ্ভুত শিশুর জন্ম হয়।

চিকিৎসক মাহফিদা আক্তার হ্যাপি জানান, সিস্টাররা নরমাল ডেলিভারি করিয়েছেন। শিশুটির খুলি ও মগজ ছিল না। জন্ম হওয়ার পর শিশুটির শারীরিক অবস্থা ভালো ছিল। পরে শিশুটিকে হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে রাখা হয়। ফলিক এসিডের অভাবে এমন শিশুর জন্ম হয়। মায়ের পেটে এই ধরনের শিশুদের মস্তিষ্কের পূর্ণ গঠন হয় না।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের শিশু বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আক্তার হোসেন বলেন, এই ধরনের শিশুর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা কম। নিউরো সার্জনরা দেখে বলতে পারবেন কিছু করা যায় কিনা। এটি জন্মগত ত্রুটি। মা যদি নেশাগ্রস্ত হন, সেক্ষত্রে এমন শিশুর জন্ম হতে পারে।

সোমবার বিকেলে প্রসব বেদনা উঠলে তানজিনাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন স্বজনরা। পরে হাসপাতালের গাইনি বিভাগের চিকিৎসক মাহফিদা আক্তার হ্যাপির তত্ত্বাবধানে নরমাল ডেলিভারি হয় তানজিনার। তিনি মাথার খুলি ও মগজবিহীন কন্যা শিশুর জন্ম দেন। শিশুটিকে ঢাকায় রেফার করা হয়।  

শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রচেষ্টা চালানো হয়েছিল। তবে শিশুটির অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরে শিশুটিকে আবারো শিশুটিকে হাসপাতালে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়।

news24bd.tv/আলী