শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ইয়াস আছড়ে পড়েছে ভারতের উড়িষ্যায়। ইয়াসের ভাণ্ডবে এরইমধ্যে ভারতের অনেক জায়গায় ক্ষয়ক্ষতি এবং জোয়ারের পানিতে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। শহরের অনেক জায়গা পানিতে ভেসে গেছে।
ইয়াসের প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গের দুই জেলার ৬৬টি বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
বুধবার (২৬ মে) রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসব জানিয়েছেন বলে উল্লেখ করে গণমাধ্যমটি। জানা গেছে, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে ১১ লাখ মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আরও মানুষকে নিয়ে আসা হবে। তিন লক্ষ কর্মী ইয়াসের মোকাবিলায় নেমেছেন।
মূখ্যমন্ত্রী আরও বলেছেন, ‘বিভিন্ন জায়গায় গাছ উপড়ে পড়েছে। নদীবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ১৫টি বাঁধ ভেঙেছে। পূর্ব মেদিনীপুরে ৫১টি বাঁধ ভেঙেছে। দিঘা থেকে অনেক লোককে সরানো হয়েছে। দেড় লক্ষ লোককে সরানো হয়েছে। আরও লোক সরানোর চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন
কোন ঠিকানা বলছেন না, কে এই তরুণী? টর্নেডো হতে পারে কলকাতায়, ঘরে থাকার অনুরোধ পিরোজপুরে জোয়ারের পানিতে বেড়িবাঁধে ভাঙন, শতাধিক গ্রাম প্লাবিত |
তিনি আরও জানান, জেলা শাসক করোনা আক্রান্ত হয়েও দুর্যোগ মোকাবিলায়কাজ করছেন। কলকাতায় পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ এখনও নিরবচ্ছিন্ন। তবে ভরা কোটালের জন্য কী হবে জানি না। মোট সাড়ে ১১ লক্ষ লোককে নিরাপদ আশ্রয়ে সরানো হয়েছে। ভরা কোটালের জন্য বাংলায় ক্ষতি বেশি হবে। প্রত্যেক বছর বিপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে ঘূর্ণিঝড়। সরকার নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাবধান থাকুন। ৭-৮ ঘণ্টা সতর্ক থাকতে হবে। ’
news24bd.tv আহমেদ