খুলনায় ভাঙছে বেড়িবাঁধ, লোকালয়ে ঢুকছে পানি

খুলনায় ভাঙছে বেড়িবাঁধ, লোকালয়ে ঢুকছে পানি

Other

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সৃষ্ট জোয়ারের অতিরিক্ত পানির চাপে খুলনার উপকূলীয় কয়রা, পাইকগাছা ও দাকোপে বিভিন্ন স্থানে বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কয়েকটি স্থানে বাঁধ ভেঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বাতাসের প্রচণ্ড গতিবেগ ও নদীতে বিশাল ঢেউ থাকায় চাপ বাড়ছে বেড়িবাঁধে।

বুধবার দুপুর ১টার দিকে জোয়ারের পানির চাপে কয়রার দক্ষিণ বেতকাশি আংটিহারা, গাতির গেরি ও মহারাজপুর ইউনিয়নের দশালিয়া পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে যায়।

এছাড়া পবনা মঠবাড়ি, লোকা, মদিনাবাদ ৫নং স্লুইসগেট পয়েন্টে বাঁধ উপচে পানি লোকালয়ে ঢুকছে।

লবনপানিতে তলিয়ে গেছে মাছের ঘের ও ফসলি জমি।

স্থানীয় প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে মাটি, বালি, জিও ব্যাগ দিয়ে বাঁধ রক্ষায় কাজ করছেন গ্রামবাসী।

কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাস জানান, নদীতে জলোচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছে।

বাতাস প্রচণ্ড গতিবেগে প্রবাহিত হচ্ছে। বিশাল ঢেউ বাঁধে আছড়ে পড়ছে।

উত্তর বেতকাশি গাতির গেরিসহ কয়েকটি পয়েন্টে বাঁধ ভেঙ্গেছে। দশালিয়া, আংটিহারাসহ আরও কয়েকটি পয়েন্টে বাঁধ উপচে পানি ঢুকছে। তবে সব জায়গাতে মাটি বালির বস্তা, জিও ব্যাগ দিয়ে বাঁধ রক্ষায় কাজ চলছে।

এদিকে দুপুরের জোয়ারের পানিতে পাইকগাছার গড়ইখালি কুমখালি, গাংরখি ও দেলুটি ইউনিয়নের চার পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে গেছে।

পাইকগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার ইকবাল জানান, সোলাদানা বাজার, হরিখালি বেতবুনিয়ায় বাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি ঢুকছে। পাইকগাছা পৌরসভা এলাকার ৯০ শতাংশ এলাকার রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি পানিয়ে তলিয়ে গেছে। স্থানীয়রা মাটি বালি দিয়ে বাঁধ মেরামতের কাজ করছেন। কিন্তু মাটিতে জোর নেই। কয়েকটি পয়েন্টে মঙ্গলবার রাতে মাটি দিয়ে বাঁধ মেরামত করা হলেও দুপুরের জোয়ারে আবারও ভেঙ্গে গেছে।

দাকোপ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গৌরপদ বাছাড় জানান, দুপুরের জোয়ার বেড়িবাঁধ কিছুটা সামাল দিতে পারলেও এখন রাতের তীব্র জোয়ার নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন গ্রামবাসী। দাকোপের তিলডাঙ্গা, পানখালি ইউনিয়ন ও পৌরসভা এলাকার বাঁধ সবচেয়ে ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। কামিনীবাসিয়া, মোজামনগর, গৌর কাঠি, পানখালি পুরাতন খেয়াঘাট, জাবেরের খেয়াঘাট ও খলিসা পয়েন্টে বেড়িবাঁধ টিকিয়ে রাখতে জরুরি ভিত্তিতে মেরামত কাজ করা হচ্ছে।

খুলনা আবহাওয়া অফিসের প্রধান কর্মকর্তা মো. আমিরুল আজাদ জানান, দুপুরের দিকে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস উপকূলীয় এলাকা অতিক্রম করেছে। দুপুর ১টার দিকে উপকূলে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ছিল ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার। এছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের পাশাপাশি পূর্ণিমা থাকায় ভরা জোয়ারে উপকূলের নিম্নাঞ্চল চার থেকে ছয় ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

news24bd.tv তৌহিদ