আবহমান বাংলায় একসময় হাত পাখার প্রচলন ছিলো খুব বেশি। গরমে এই পণ্যের ব্যবসা ঘিরে অনেকেই জীবিকা নির্বাহ করেছেন। বৈদ্যুতিক পাখার এই যুগেও একেবারে হারিয়ে যায়নি হাত পাখা। যদিও প্লাস্টিক কিংবা বিকল্প উপায়ে হাতপাখার স্থান দখল হয়েছে অনেকখানি।
নওগাঁয় এখনো একটি গ্রামের শতাধিক মানুষ হাতপাখা বিক্রি করে সংসার চালান। তবে আগের মতো লাভ নেই বলে জানিয়েছেন তারা।আধুনিক যুগে হাতপাখা খুব একটা আবেদন তৈরি না করলেও, গরমে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হলে এর প্রয়োজনীয়তা ঠিকই টের পাওয়া যায়। পুরোপুরি পরিবেশ বান্ধব এই পণ্য সেকেলে হয়েছে অনেক আগেই।
নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার ভালাইন গ্রামে ১৫ থেকে ২০টি পরিবার বাপ-দাদার পেশা হাতপাখা বানানোকে এখনো ধরে রেখেছেন। যদিও পণ্যের চাহিদা কমে গেছে। বেড়েছে কাঁচামালের দাম। যে পাখা থেকে আগে বেশ ভালোভাবে চলেছে সংসার, সেই পেশা এখন ছাড়তে চান অনেকে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, সহজ শর্তে ঋণ পেলে তারা ভালোভাবে বাঁচতে পারবেন।
পাখা তৈরির কারিগররা যাতে সহজে ঋণ নিতে পারেন তার ব্যবস্থা করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন বিসিক কর্মকর্তারা।
সঠিক প্রশিক্ষণ ও আধুনিকায়ন করলে এই শিল্প অনেকের কর্মসংস্থান তৈরি করতে পারে বলে দাবি ক্ষুদ্রশিল্প সংশ্লিষ্টদের।
news24bd.tv / কামরুল