ইমামের সঙ্গে চতুর্থ সংসার করতে চেয়েছিলেন আসমা!

ইমামের সঙ্গে চতুর্থ সংসার করতে চেয়েছিলেন আসমা!

অনলাইন ডেস্ক

পরকীয়া জড়িয়ে তারা নিয়ে ফেলেন এক ভয়ঙ্কর খুনের পরিকল্পনা। নিজ স্বামী আজহারকে (৩৫) খুন করতে মসজিদের ইমামকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্ররোচিত করতেন স্ত্রী আসমা আক্তার (২৪)। তিনি আজহারকে হত্যা করার বিষয়ে মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুর রহমানকে বিভিন্নভাবে চাপ দিতেন। স্বামী আজহারুলকে হত্যা করতে পারলে ইমামকে বিয়ে করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন আসমা আক্তার।

সেই পরিকল্পনা মাফিক মসজিদের নিজ শয়নকক্ষে আজহারকে হত্যা শেষে ৬ টুকরা করে সেফটিক ট্যাংকিতে ফেলে দেন ইমাম মাওলানা আব্দুর রহমান (৫৪)। আর এই হত্যার ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা রমজান মাসের ৭ দিন আগে নেয় তারা। আর এ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করতে  ইমাম তার এক ছাত্রের নামে একটি মোবাইল ফোন ও সিম কিনে দিয়েছিলেন আসমা আক্তারকে।

র‌্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইমাম মাওলানা আব্দুর রহমান জানিয়েছেন, আজহারকে হত্যার পর ইমামের সঙ্গে চতুর্থ সংসার করতে চেয়েছিলেন আসমা।

তাই তার পরিকল্পনায় এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। আসমা ইমাম আব্দুর রহমানকে প্রায়ই বলতেন, আজহারকে হত্যা করতে না পারলে তিনি নিজেই আত্মহত্যা করবেন অথবা ইমামকে হত্যা করবেন।

বুধবার দুপুরে রাজধানীর কুর্মিটোলা র‌্যাব সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, রমজান মাসের ৭ দিন আগে আজাহারকে হত্যার পরিকল্পনা করেন মসজিদের ইমাম ও তার স্ত্রী আসমা আক্তার।   

এর আগে মঙ্গলবার সকালে নিহতের মরদেহ উদ্ধারের পর বিকালে আব্দুল্লাহপুর থেকে আসমাকে গ্রেফতার করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে র‍্যাব। এরপরই আসমা র‍্যাবের কাছে পরকীয়া সম্পর্ক ও হত্যার পরিকল্পনার কথা স্বীকার করেন। পরবর্তীতে আসমা আক্তারকে এই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।

এদিকে এদিন আজহারুল হত্যা মামলায় তার স্ত্রী আসমা আক্তার ও ইমাম আব্দুর রহমানের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দক্ষিণখান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অনুজ কুমার সরকার।   শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম নিভানা খায়ের জেসী তাদের ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে মঙ্গলবার রাজধানীর দক্ষিণখান সরদারবাড়ি জামে মসজিদের সেপটিক ট্যাংক থেকে আজহারুল ইসলাম (৪০) নামে এক গার্মেন্টকর্মীর ৭ টুকরো লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় র‌্যাব মসজিদের ইমাম আব্দুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, বাসায় আসা-যাওয়ার সূত্র ধরে আজহারুলের স্ত্রীর সঙ্গে আব্দুর রহমানের ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতে ২০ মে মসজিদে ইমামের কক্ষে গিয়ে খুন হন তিনি। পরে তার লাশ গুম করতে সাত টুকরা করে সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রাখা হয়।

news24bd.tv/আলী