ঠাকুরগাঁওয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বেহাল দশা, পুনর্নির্মাণ

ঠাকুরগাঁওয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বেহাল দশা, পুনর্নির্মাণ

Other

ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল উপজেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের বাড়ী নির্মাণের দু-মাসের মাথায় বাড়ি ভেঙ্গে গেলে আবার মেরামত করা হয়েছে। মেরামত করা বাড়ীগুলো উপজেলার হোসেনগাঁও ইউনিয়নের হাজেরা দীঘি-২ এলাকায় অবস্থিত।

স্থানীয়রা বলছেন, বাড়ী নিমার্ণের শুরু থেকেই নিম্নমানের কাজ করা হচ্ছে। আমরা বাধা দিলেও তা কর্ণপাত করা হয়নি।

এ কারণেই এক ঝড়ে একটি বাড়ীর বারান্দার তিনটি পিলারের মধ্যে দুইটি পিলার ভেঙে পড়েছে। ঘরের ছাউনি টিন স্থাপনার সময় সঠিক নিয়মে কাঠ না দেওয়ায় এক ঝড়েই ১৪টি ঘরের একাধিক টিন উড়ে গেছে। আমরা সবে মাত্র দুমাস আগে ঘরগুলোতে উঠেছি। এতেই এ অবস্থা সামনে যে আরো কি হবে আশংকায় রয়েছি।


সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আশ্রয়ণ প্রকল্পের সদ্য নির্মিত ঘরগুলোর একাধিক টিনের উপর ইট ও ভারি বস্তা দেওয়া রয়েছে। এছাড়াও রান্না ও বাথরুমের ঘরের টিনের পিছন পাশে বিল্ডিংয়ের দেয়াল ফুটো করে তাতে দড়ি ও তার দিয়ে টিনের কাঠের সাথে টানা দেওয়া। একটি ঘরের আবার তিনটি পিলারে মধ্যে দুটি নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়াও মেঝে ও পিলারের সিমেন্ট খসে পড়ারও অভিযোগ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে বছর খানেক ব্যবহারের মধ্যেই এই বাড়ীগুলোর অবস্থা নাজেহাল হয়ে পড়বে।


আরও পড়ুন


নাগরিকদের সিনোফার্ম টিকার তৃতীয় ডোজ দেয়ার ঘোষণা আমিরাত-বাহরাইনের

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফিলিস্তিন সফরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ

স্ত্রীর পরকীয়ায় সাত টুকরা হওয়া সেই আজহারুলের দাফন সম্পন্ন

খালাসের আগেই আমদানি করা বিটুমিনের মান পরীক্ষা বাধ্যতামূলক


স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, ঘর নির্মাণের শুরু থেকেই বালু সিমেন্ট ও ঘরের ভিত্তি নিয়ে আমাদের অভিযোগ ছিলো। বিশেষ করে ইট গাথুনির জন্য মিশ্রিত বালু সিমেন্ট নিয়ে। তারা পরিমাণে বালু বেশি আর সিমেন্ট কম দিয়ে ঘরের কাজ করেছেন। প্লাষ্টারগুলোও করেছেন দায়সারাভাবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহেল সুলতান জুলকার নাইন বলেন, এক ঝড়ে ১৪টি ঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল আমরা তা ঠিক করেছি। ঘরগুলো এখনো হস্তান্তর করা হয়নি। তারা এমনিতেই ঘরে উঠে পড়েছে। আমাদের কাজ চলমান।

news24bd.tv / নকিব