পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন
রংপুরে জেসমিন হত্যা

পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন

Other

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় চাঞ্চল্যকর জেসমিন হত্যা মামলায় মূল আসামিকে গ্রেপ্তার করা হলেও অন্য আসামিদের গত ২০ দিনেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসীরা।

শুক্রবার বিকেলে জেসমিন হত্যার প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন, অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার ও পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে জেসমিনের ভাই ও এলাকার সুশিল সমাজের প্রতিনিধিরা।

মামলার বিবরণে জানা যায়, এ বছর জানুয়ারি মাসে জেসমিনের সঙ্গে বিয়ে হয় রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার নিলকচন্ডি গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে আসামি মোতালেব মিয়ার।

স্বামীর বাড়ি থেকে গত ৬ মে তারিখে জেসমিন অটোরিক্সা যোগে বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে বাবার বাড়িতে আসে। সে তার পরিবার কে জানায় তার স্বামী ঈদ উপলক্ষ্যে ৫ হাজার টাকা চেয়েছে। সামর্থ্য অনুযায়ী ১ হাজার টাকা তার হাতে দিয়ে পরদিন বিকেল ৫ টার দিকে অটোরিক্সাযোগে তার শশুরালয়ে পাঠিয়ে দেয় তার বড় ভাই। ঘটনার দিন ০৯-০৫-২০২১ ইং তারিখে সকালে সেখানে বেড়াতে যাওয়া মামাতো ছোট বোন মুঠোফোনে জানান, জেসমিন মারা গেছে।
খবর পেয়ে ছুটে গেলে দেখা যায় জেসমিনের নিথর দেহ মাটিতে পরে আছে। তার দেহের বিভন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

এ ঘটনায় জেসমিনের বড় ভাই মহুবর রহমান মধু বাদী হয়ে গঙ্গাচড়া থানায় মামলা দায়ের করলে স্বামী মোতালেবকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কিন্তু এজাহারভূক্ত অন্য আরও তিনজন আসামিকে গ্রেপ্তার না করায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এলাকাবাসী। তাই শুক্রবার বিকেলে বুড়িরহাট বাজারে জেসমিন হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় আনতে সংবাদ সম্মেলন করে নিহতের ভাই ও এলাকাবাসী।

এ সময় বুড়িহাট দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান চঞ্চল, সহসভাপতি আব্দুল জলিল মিয়া, সাংগঠনিক মোজাম্মেল হক, প্রচার সম্পাদক আবু হোসেন, এলাকাবাসীর পক্ষে মঞ্জু, তুষার, মুকুল, আমিন সহ শতাধিক লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

গঙ্গাচড়া উপজেলা মডেল থানার তদন্ত কর্মকর্তা নুর আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মামলার প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

news24bd.tv তৌহিদ