বিশেষ পানীয় খাইয়ে এক নারীকে ও তার দুই ননদকে ২০০৫ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ধর্ষণ করেন রাজস্থানের স্বঘোষিত ‘বাবা’ যোগেন্দ্র মেহতাক।
ধর্ষণের অভিযোগকারিণী বলেন ,গুরুদেবের শিষ্যরা আমাকে একটা পানীয় দেয়। এরপর আমার ওপর চলে শারীরিক নির্যাতন। ১২ বছর ধরে টানা একই ঘটনা হয়ে চলেছে।
আমার দুই ননদের ওপরও একই ঘটনা ঘটেছে।ধর্ষণের শিখার তিন নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয় রাজস্থানের স্বঘোষিত বাবাকে। জয়পুর–আজমীর হাইওয়ের ধারে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ওই ভণ্ড মেহতার আশ্রম।
সম্প্রতি এক নারী তার দুই ননদকে নিয়ে পুলিশের কাছে মেহতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন।
মূল অভিযোগকারিণী জানান, আমার স্বামী নিয়মিত মেহতার আশ্রমে যেতেন। একদিন তার অনুরোধেই আমরা সপরিবারে আশ্রমে যাই। গুরুদেবের সঙ্গে ২০০৫ সালে সেই প্রথম সাক্ষাৎ। প্রথম প্রথম সব ঠিকই ছিল। আমি ৬ মাস অন্তর অন্তর আশ্রমে গিয়ে তিন-চারদিন করে থাকতাম। সেরকমই একবার থাকতে গেলে শিষ্যরা আমাকে মেহতার ঘরে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর তারা আমাকে একটা পানীয় দেয়। এরপর আমার ওপর চলে শারীরিক নির্যাতন। ১২ বছর ধরে টানা একই ঘটনা হয়ে চলেছে। আমার দুই ননদের ওপরও একই ঘটনা ঘটেছে।
১২ বছর টানা শারীরিক অত্যাচার সহ্য করলেন কেন এমন প্রশ্নের উত্তরে ওই নারী বলেন, আমাকে ভয় দেখানো হয়েছিল। প্রতিবারই বলা হতো এটা গুরুর আশীর্বাদ এবং লোক জানাজানি করলে ফল হবে ভয়ঙ্কর। এ ছাড়া প্রথম দিকে বিশেষ সেই পানীয় খেয়ে কিছুই বুঝতে পারতাম না আমি।
কেবল একদিন আমি স্বামীর সামনে প্রতিবাদ করি, যেদিন আমার ২০ বছরের মেয়েকে, কয়েকদিনের জন্য আশ্রমে রেখে আসার কথা ওঠে।
ভাকরোতা থানার এস এইচ ও মুকেশ চৌধুরী বলেন, গত তিন সপ্তাহ ধরে আমরা ওই যোগেন্দ্র মেহতার বিরুদ্ধে তথ্য–প্রমাণ সংগ্রহ করি। এরপর থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে গ্রেপ্তার করি। অভিযোগকারিণীদের শারীরিক পরীক্ষার পর তদন্ত শুরু হয়েছে।
news24bd.tv/আলী