খামেনির কারণেই আহমাদিনেজাদকে নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষণা!

খামেনির কারণেই আহমাদিনেজাদকে নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষণা!

অনলাইন ডেস্ক

ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে আগামী জুনের ১৮ তারিখ। এদিকে আসন্ন ওই নির্বাচনে বিচার বিভাগীয় প্রধান ইব্রাহিম রাইসিসহ সাত প্রার্থীকে অনুমোদন দিয়েছে দেশটির নির্বাচন পর্যবেক্ষক কমিটি। অন্যদিকে  সাবেক কট্টর প্রেসিডেন্ট আহমাদিনেজাদ এবং দেশটির প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট ইসহাক জাহাঙ্গীরকেও অযোগ্য ঘোষণা করে দেশটির গার্ডিয়ান কাউন্সিল।

যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েলের কট্টর সমালোচক হিসেবে পরিচিত ইরানের সাবেক রক্ষণশীল প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ।

  অনেকটা অপ্রত্যাশিতভাবেই  দেশটির ১৩ তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড় থেকে বাদ পড়েছেন। ইসলামি বিপ্লবের পক্ষের জনপ্রিয় এই নেতাকে কী কারণে নির্বাচনে লড়তে দেওয়া হলো না, তা নিয়ে সরব ইরান এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতি।

বিভিন্ন গণমাধ্যমের বিশ্লেষণ থেকে জানা যায়, কিছুটা স্বাধীন হয়ে দায়িত্ব পালন করতে চেয়েছিলেন আহমাদিনেজাদ। যার ফলে তার কিছু সিদ্ধান্ত সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির মতের বিরুদ্ধে যায়।

যা ভালোভাবে নেননি খামেনি। যদিও কট্টর পশ্চিমাবিরোধী মনোভাব এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে স্পষ্ট অবস্থানের কারণে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে নিয়ে যায় তাকে। আর এ কারণেই ২০০৯ সালেও প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হন মাহমুদ আহমেদিনিজাদ।

গেলো ১২ মে আচমকাই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য নিজের নাম নিবন্ধন করেন ইরানের সাবেক আলোচিত প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ। দেশটিতে আসন্ন নির্বাচনে শক্ত প্রতিপক্ষ হিসেবে সাবেক এই রক্ষণশীল প্রেসিডেন্টকে নিয়ে শুরু হয় ব্যাপক আলোচনা।

মূলত ইরানের বড় কোন সিদ্ধান্ত একক ক্ষমতাবলে নিয়ে থাকেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি। ২০০৫ সালে তার সমর্থন নিয়েই ক্ষমতায় এসেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক মাহমুদ আহমাদিনেজাদ।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, সর্বোচ্চ নেতার সঙ্গে মতের মিল না থাকাতেই ২০১৭ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে অযোগ্য ঘোষণা করা হয় তাকে। এরই ধারাবাহিকতায় ব্যাপক সম্ভাবনা থাকলেও আসন্ন নির্বাচনের দৌঁড় থেকেও বাদ দেওয়া হলো পশ্চিমাবিরোধী এই কট্টর নেতাকে।

স্বভাবতই এ বিষয়ে ইরানি গার্ডিয়ান কাউন্সিল কোন বক্তব্য না দিলেও সূত্রগুলো বলছে, প্রেসিডেন্ট এবং সর্বোচ্চ নেতার মধ্যকার দূরত্বকে যাতে পশ্চিমারা কাজে না লাগাতে পারে, সেজন্যই আহমেদিনিজাদকে আসন্ন নির্বাচনে লড়তে দেওয়া হয়নি।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থিতার জন্য ৬০০ জন আবেদন করলেও মাত্র ৪০ জন কাউন্সিলের প্রাথমিক মানদণ্ড পূরণ করেছেন এবং এর মধ্যে থেকে সাতজনকে নির্বাচনের জন্য অনুমোদন দেয়া হয়।

এর আগে গার্ডিয়ান কাউন্সিল দেশটির পার্লামেন্টের সাবেক স্পিকার এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির ঘনিষ্ট মিত্র আলী লরিজানিকে নির্বাচনের জন্য অযোগ্য ঘোষণা করে।  

news24bd.tv/আলী