গৃহকর্মীর সঙ্গে এ কেমন নির্যাতন

গৃহকর্মীর সঙ্গে এ কেমন নির্যাতন

অনলাইন ডেস্ক

চট্টগ্রামে কিশোরী গৃহকর্মীকে অমানুষিক নির্যাতনের পর অজ্ঞান হয়ে গেলে মৃত ভেবে বাড়ির দারোয়ানের সহায়তায় রাঙ্গুনিয়ার নির্জন স্থানে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় জেসমিন ও তার স্বামীসহ তিনজন গ্রেপ্তার হয়েছে।

শারীরিক যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলেন পনের বছরের নিলুফা। নির্যাতনের কারণে ঠিকমতো দাঁড়িয়ে থাকারও শক্তি নেই মেয়েটির।

এলাকাবাসী সূত্র জানায়, তিন মাস আগে চন্দনাইশ নিজ বাড়ি থেকে পালিয়ে এসে নগরীর মমিনবাগ আবাসিক এলাকায় এক প্রবাসীর ঘরে কাজ নেয় কিশোরী নিলুফা। এরপর থেকেই গৃহকর্ত্রী জেসমিন আখতার প্রতিনিয়ত অমানুষিক নির্যাতন চালাত মেয়েটির ওপর। গত ২৭ মে নির্যাতন চালানোর এক পর্যায়ে নিলুফা অজ্ঞান হয়ে যায়। মারা গেছে ভেবে বাড়ির দারোয়ানের সহায়তায় কিশোরীকে রাঙ্গুনিয়ার এক নির্জন স্থানে ফেলে দেওয়া হয়।

খবর পেয়ে পুলিশ উদ্ধার করে মেয়েটিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন নির্যাতিতার স্বজনরা।

নির্যাতিতা বলেন, চামচ দিয়ে দিয়ে ছ্যাঁকা দেওয়া হয়েছে। আবার নিচে ফেলে লাথি মেরেছে। দেয়ালের সঙ্গে মাথা ধাক্কা দিয়ে দিয়ে আঘাত করেছে।

ওই কিশোরীর মা বলেন, আমার মেয়ের মাথাটা সারা জীবনের জন্য নষ্ট করে দিয়েছে। এখন তাকে বিয়ে দিতে চাইলেও পারবো না! আমি এর উচিত বিচার চাই।   

সিএমপি পাঁচলাইশ থানার কর্মকর্তা জাহিদুল কবির বলেন, নির্যাতন করে লিচু বাগানে ফেলা আসার কথা স্বীকার করেছে অভিযুক্তরা। এ ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছি। এখন পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা আমরা গ্রহণ করব।

news24bd.tv তৌহিদ

সম্পর্কিত খবর