প্লাস্টিক বর্জ্যর ভয়াবহতার খবর ২য় পর্বে

প্লাস্টিকের যথেচ্ছ ব্যবহারে নষ্ট হচ্ছে মাটি ও পানি

Other

মাটির নিচে পাঁচশ বছরেও পঁচে না যে প্লাস্টিক; জলাশয় আর স্থলভাগে তারই দাপট বাড়ছে প্রতিদিন। ধ্বংস হচ্ছে মাটি ও পানির জৈব গুণ। শুধু তাই নয়, খাবারের সাথে প্লাস্টিকের অতিক্ষুদ্র কণা মানুষের দেহে ঢুকে ক্যান্সারসহ জটিল রোগ তৈরির কারণ হয়ে উঠছে। শেখ জালালের ক্যামেরায় র ধারাবাহিকের আজ উঠে জানছেন।

 

মাছের দেখা নেই, উল্টো জাল ভরে উঠে আসছে বোতল পলিথিন ও অন্যান্য প্লাস্টিক জাতীয় বর্জ্য। নদীতে জাল ফেলে মাছ ধরার চেষ্টায় এলাকার শফিকুল। মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ধরেশ্বরী নদীর চিত্র এটি।

জলাশয় ছেড়ে এবার আসা যাক স্থলভূমিতে।

ঘাম ছড়িয়ে ফসল ফলানো কৃষকের কাছে আতংকের নামও এখন প্লাস্টিক।   

প্লাস্টিক বর্জ্যের উপর ২৪ টি গবেষণা প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে চলতি বছর মার্চে সায়েন্স অব দ্য টোটাল এনভায়রোনমেন্ট জার্নালে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে প্লাস্টিক বর্জ্যের অর্ধেকই পানিতে বা নিচু ভূমিতে ফেলা হচ্ছে যা মাটি ও পানির জৈব গুণ ধ্বংস করছে। এমনকি এই প্লাস্টিকই খাদ্য চক্রের মাধ্যমে মানুষের শরীরে প্রবেশ করছে এবং তা ক্যান্সারসহ নানা জটিল রোগ তৈরিতে ভূমিকা রাখছে।

ওই গবেষণায় অংশ নেয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক গাউসিয়া চৌধুরী জানান আরো ভয়ংকর পরিণতির দিকে হাটছে দেশ।

সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা গর্ভস্থ শিশুর প্লাসেন্টা বা গর্ভফুলে প্লাস্টিক কণা পেয়েছেন। গেল ফেব্রয়ারীতে ‘দ্য প্রিন্ট’-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন বলছে, পানিতে প্লাস্টিক বর্জ্যের এমন দূষণ অব্যাহত থাকলে গবেষকদের আশঙ্কা ২০৫০ সাল নাগাদ সমুদ্রে মাছের চেয়ে প্লাসিকের পরিমাণই বেশি হবে।

news24bd.tv / কামরুল