নিজ ছেলের স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় নিজ স্ত্রীকেই হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে রংপুরের পীরগঞ্জের চগাছী ইউনিয়নের জাহাঙ্গীরাবাদ উত্তরপাড়া গ্রামের পোশাগী বেগমকে (৫৫) স্বামী কফিল উদ্দিন হত্যা করেন। এ ঘটনায় পীরগঞ্জ থানা পুলিশ কফিল উদ্দিনকে গ্রেফতার করে সোমবার আদালতের মাধ্যমে রংপুর জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার জাহাঙ্গীরাবাদ উত্তরপাড়া গ্রামের কফিল উদ্দিনের সাথে প্রায় ৪০ বছর আগে পার্শ্ববর্তী পানেয়া গ্রমের পোশাগী বেগমের বিয়ে হয়।
তাদের সংসারে ২ ছেলে-মেয়ে রয়েছে। কফিলের ছেলে বহুরুল ইসলাম (৩৫) তার স্ত্রী মনিরা বেগমকে বাড়িতে রেখে প্রায় ১০ বছর ধরে ঢাকায় রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। মাঝেমধ্যে বাড়িতে আসা-যাওয়া করেন।ছেলে দীর্ঘদিন ধরে অনুপস্থিত থাকার সুযোগে শ্বশুর কফিল উদ্দিন তার পুত্রবধূ মনিরার সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন।
এসময় শাশুড়ি পোশাগী বেগম তাদের দু’জনকে হাতে নাতে ধরে ফেলেন। এতে বাধা দেওয়ায় কফিল তার স্ত্রী পোশাগীকে এলোপাতাড়ি মারধর করলে সে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। এদিকে বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রবিবার রাতে পোশাগী বেগম মারা যান। এ ঘটনায় পোশাগীর বড় ভাই মীর মোশারফ হোসেন বাদী হয়ে তার ভগ্নিপতি কফিল, ভাগনে বউ মনিরা ও ভাগনে বহুরুলকে আসামি করে পীরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরেস চন্দ্র জানান, মামলার প্রধান আসামি শ্বশুর কফিল উদ্দীনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
news24bd.tv/আলী