ভারী বৃষ্টিপাত ও উজানে পানি বৃদ্ধির ফলে কুড়িগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় তিস্তা নদীর তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে । গেল ৫ দিনে নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে প্রায় অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি, কয়েক’শ বিঘা ফসলী জমিসহ বহু স্থাপনা।
নদী তীরবর্তি মানুষের অভিযোগ, প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড একাধিকবার ভাঙন রোধে নানা ব্যবস্থা নেয়ার প্রতিশ্রতি দিলেও তা বাস্তবায়ন হয়না। আর এ কারণেই প্রতিবছরই তিস্তার ভাঙনে ভিটে-মাটি হারিয়ে নি:স্ব হয়ে পড়ছেন তারা ।
সংশ্লিস্টরা বলছেন, ভাঙন কবলিত এলাকায় এরই মধ্যে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।গেল এক সপ্তাহ ধরে উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, ধরলা, দুধকুমারসহ ১৬টি নদী-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন:
মানবপাচারের অভিযোগে টিকটক হৃদয়ের বিরুদ্ধে মামলা
ফাইজারের টিকা দেওয়া হবে রাজধানীতেই
আহমদ শফীকে মৃত্যুর আগে ওষুধ খেতে দেওয়া হয়নি: নুরুল ইসলাম
দেশে কগরোনায় মৃত্যু ৩৪, শনাক্ত ১৯৮৮
এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে তিস্তা নদীর পানি। পানিবৃদ্ধি ও তীব্র স্রোতের কারণে কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বজরা ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের কাসিমবাজার এলাকায় তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে।
গেল ৪/৫ দিনে নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে অর্ধ শতাধিক বসত বাড়ি, কয়েক’শ বিঘা ফসলী জমিসহ বহু স্থাপনা। হুমকির মুখে রয়েছে ঐতিহাসিক কাসিমবাজার হাটসহ বহু শিক্ষা প্রতিষ্টান।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নদী ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যকর কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় প্রতিবছরই ভিটে মাটি হারিয়ে নি:স্ব হয়ে পড়ছেন তারা। একদিকে করোনা ভাইরাস অন্যদিকে তিস্তার অব্যাহত ভাঙনের মুখে এখন দিশাহারা তারা।
সংশ্লিস্টরা বলছেন, ভাঙন কবলিত এলাকায় এরই মধ্যে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে । স্থায়ী বেড়ি বাধ নির্মাণের প্রকল্প অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু করা হবে। বর্ষা মৌসুম শুরুর আগেই নদী ভাঙন রোধে প্রশাসন কার্যকর পদক্ষেপ নেবে এমন প্রত্যাশা তিস্তা পাড়ের মানুষের।
news24bd.tv / কামরুল