প্রতিবেশী যুবক অমিত মিশ্র (অনিকেত)-এর সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল শাহিদার। সেই সম্পর্কের মাঝে বাধা হয়ে দাড়ায় শাহিদার স্বামী রইজ শেখে। পরকীয়া প্রেমে বাধা দেয়ায় স্বামীকে শাহিদা ও তার প্রেমিক অমিত মিশ্র মিলে কুপিয়ে নির্মমভাবে খুন করেন নিজেদের বাসায়। এরপর মরদেহ ৩ ভাগে ভাগ করে সেই দেহ লুকিয়ে রাখেন রান্নাঘরে।
আবার ভয়ঙ্কর এই ঘটনা ঘটেছে তাদেরই মাত্র ছয় বছরের শিশু কন্যার সামনেই।স্বামীকে হত্যার পরে ছয় বছরের শিশু কন্যাকেও একইভাবে মেরে ফেলার হুমকি দেয় তারই মা শাহিদা।
গত মাসে ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মুম্বাইতে। তবে অভিযুক্ত স্ত্রী ও তার প্রেমিককে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করেছ পুলিশ।
২০১২ সালে উত্তরপ্রদেশের গন্ডায় শাহিদা শেখের সঙ্গে রইজ শেখের বিয়ে হয়। কাজের জন্য ৬ বছরের শিশু মেয়ে ও ২ বছরের ছোট ছেলেকে নিয়ে মুম্বাই চলে আসেন তারা। কিন্তু এখানে আসার পরেই শাহিদা পরকীয়া প্রিম শুরু করেন অমিত মিশ্রের সাথে।
পুলিশ সূত্র বলছে, স্বামীকে হত্যার পর গত ২৫ মে দাহিসার থানায় স্বামী নিখোঁজের ডায়েরি করেন স্ত্রী শাহিদা। স্বামীর সঙ্গে কোনো যোগযোগ করতে পারছেন না বলে জানান। ২১ মে থেকেই নাকি নিখোঁজ স্বামী রইজ।
এরপর তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ওই দিনই রইজের ভাই আনিজ থানায় আসে। সে পুলিশকে জানায়, শাহিদা কোনো কিছু আড়াল করার চেষ্টা করছে। পুলিশ তাদের বাড়ি গিয়ে তল্লাশি চালালে প্রশ্নবানের মুখে স্বামীকে খুনের কথা স্বীকার করে শাহিদা। তাদের ছয় বছরের শিশু কন্যাও সেই ভয়ঙ্কর খুনের কথা জানান। এমনকি কাউকে এ কথা জানালে তাকেও একইভাবে মেরে ফেলার হুমকি দেয় তারই মা শাহিদা।
এছাড়াও জানা গেছে, প্রতিবেশী যুবক অমিত মিশ্র (অনিকেত)-এর সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল শাহিদার। কিন্তু এতে রইজের আপত্তি ছিল। তাই তো পথের কাঁটা দূর করার জন্য প্রেমিকের সঙ্গে মিলে স্বামীকে খুনের সিদ্ধান্ত নেয় শাহিদা।
news24bd.tv/আলী