সিলেটে স্কুলছাত্রীকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ

সিলেটে স্কুলছাত্রীকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

সিলেটে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। পরে ওই ছাত্রীকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় নদীর পাড়ে ফেলে রাখা হয়। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর পরিবার থানায় মামলা দায়ের করেছে। তবে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি।

 

এদিকে, গুরুতর অবস্থায় ওই স্কুলছাত্রীকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে। জালালাবাদ থানায় ছাত্রীর মামা দুলাল মিয়া বাদী হয়ে একই গ্রামের মছব্বির আলীর ছেলে সুনুর মিয়াকে আসামি করে মামলা করেছে।  

পুলিশ জানায়, ওই মেয়ে শহরতলীর নোয়াগাঁও শাহজালার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণিতে পড়ে। বর্তমানে তার বয়স ১৪ বছর।

দীর্ঘদিন ধরে একই গ্রামের বখাটে সুনুর মিয়া কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। স্কুলছাত্রী লজ্জায় কাউকে কিছু বলেনি। গত ২৬ আগস্ট রাতে বাদী বাড়ির বাইরে থাকার সুযোগে সুনু মিয়া ঘরের দরজার ছিটকারী ভেঙে প্রবেশ করে ঘুমন্ত অবস্থায় মুখে কাপড় গুঁজে বিছানা থেকে উঠিয়ে নিয়ে যায়।  

এ সময় শব্দ শুনে বাদীর স্ত্রী রোসনা বেগমের ঘুম ভেঙে যায়। পরে বিছানায় ভাগ্নিকে না পেয়ে ঘরের বাইরে খোঁজাখুঁজির পর মোবাইলে ফোনে রোসনা তার স্বামী দুলালের সঙ্গে যোগাযোগ করলে দুলাল মিয়া সঙ্গে সঙ্গে বাড়িতে এসে পাড়া প্রতিবেশীদের নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ভাগ্নিকে খোঁজ করেন।

সারারাত খোঁজাখুঁজি করে কোথায়ও না পেয়ে অবশেষে ভোর ৬টায় চেঙ্গেরখাল নদীর পাড়ে অচেতন অবস্থায় ভাগ্নিকে দেখতে পান তারা। দুলাল মিয়া ভাগ্নিকে বাড়িতে এনে পঞ্চায়েতের মুরব্বিদের পরামর্শে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করেন।  

ভাগ্নি স্বাভাবিক হওয়ার পর জানতে পারেন ‘সুনুর মিয়া তাকে জোরপূর্ব ঘর থেকে উঠিয়ে নিয়ে নৌকা যোগে নদীর উত্তরপাড়ে রাইস মিলে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। সে কাকুতি মিনতি করলেও সুনুর হাত থেকে রক্ষা পায়নি। ’

এ ঘটনার পর এলাকাবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে।    

এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জালালাবাদ থানার এসআই যোবেদা বেগম জানিয়েছেন, মামলা দায়েরের পর আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রেখেছেন।  

তিনি বলেন, আসামির ২২ ধারা জবানবন্দি গ্রহণসহ পরবর্তী কার্যক্রম তারা শুরু করছেন। মেয়েটি এখনও ওসিসিতে ভর্তি রয়েছে বলে জানান তিনি।

সম্পর্কিত খবর