২০২১-২০২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এবারের বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ছয় লাখ তিন হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। যা জিডিপির ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ। গত বছরের চেয়ে এবার বাজেটের ব্যয় বেড়েছে ১২ ভাগ।
দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ঘাটতি বাজেট এটি। রাজস্ব আদায়ের চ্যালেঞ্জ মাথায় নিয়ে বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় জাতীয় সংসদের অধিবেশনে বাজেট বক্তৃতার মাধ্যমে প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী।
নতুন বাজেটে মোট ব্যয়ের আকার ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা, যা মোট জিডিপির ১৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ। বাজেটে মোট আয় ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৯২ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা।
নতুন অর্থবছরের বাজেট বিগত অর্থবছরের তুলনায় ৩৫ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা বেশি। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে বাজেটের আকার ছিল ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। বাজেটের এই অর্থ জোগান দিতে রাজস্ব, অভ্যন্তরীণ ঋণ ও বৈদেশিক উৎস থেকে ঋণের শরণাপন্ন হবে সরকার।
আরও পড়ুন:
ওমানে করোনায় ৭ ঘণ্টার ব্যবধানে বাংলাদেশি দুই ভাইয়ের মৃত্যু |
এবার বাজেটে সরকার আয়ের দিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। এর মধ্যে কর খাত থেকে আসবে ৩ লাখ ৪৬ হাজার কোটি টাকা, কর ব্যতীত প্রাপ্তি হচ্ছে ৪৩ হাজার কোটি টাকা। তবে করের টাকা দুটি খাত থেকে আদায় করা হবে। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) নিয়ন্ত্রিত কর ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা এবং এনবিআরবহির্ভূত কর ১৬ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া আগামী বছর বৈদেশিক অনুদান পাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা।
দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় বাংলাদেশের ৫০তম বাজেট এটি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদের তৃতীয় বাজেট। আওয়ামী লীগ সরকারের ২১ তম ও অর্থমন্ত্রী হিসেবে আ হ ম মুস্তফা কামালের এটি তৃতীয় বাজেট।
news24bd.tv নাজিম