মাইকিং করে ২০০ টাকা কেজিতে ইলিশ বিক্রি

মাইকিং করে ২০০ টাকা কেজিতে ইলিশ বিক্রি

Other

বাগেরহাটে কয়েক দিন ধরে শহরসহ গ্রামগঞ্জে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় ঘুরে মাইকিং করে পিস করা কোটা ইলিশ মাছ বিক্রি করা হচ্ছে। এসব কোটা ইলিশ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২০০ টাকা দরে। ককসিটে করে বরফ দেওয়া এসব কোটা ইলিশ স্বাস্থ্যসম্মত নয় বলে জানিয়েছেন বাগেরহাট বাজারের একাধিক মাছ বিক্রেতা। তবে, দামে কম ও কোটার ঝামেলা না থাকায় দরিদ্র ও সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠি কিনছেন পিস করা ইলিশ মাছ।

তবে কোটা এসব ইলিশ মাছের সাইজ অনেক ছোট। তার ওপর মাছের আঁশ ফেলা হয়নি। দীর্ঘদিন কোল্ডস্টোরে থাকায় ইলিশগুলো প্রচুর ঠান্ডা ও অনেক শক্ত।

বাগেরহাট শহরের ম্যাটারনিটি মোড়ে শুক্রবার বিকালে একটি অটোরিকশায় মাইকিং করে কোটা ইলিশ বিক্রি করতে দেখা যায়।

আশেপাশের নিম্ন আয়ের লোকজন সেই মাছ কিনতে জন্য ভিড় করছে অটোরিকশার পাশে। কেউ কেউ কিনছেনও। রহিম শিকদার নামে একজন কোটা ইলিশ ক্রেতা বলেন, বাজারে এক কেজি ছোট সাইজের জাটকা ইলিশ কিনতে গেলেও কমপক্ষে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা লাগে। সেখানে ২০০ টাকায় এক কেজি কোটা ইলিশ পাচ্ছি। এটাই তো আমাদের ভালো। ভেজাল তো সব জায়গায় আছে। দু’একদিন এমন ইলিশ খাইলে কিছু হবে না।

তবে, সেখানে থাকা দু’একজন জানান, ইলিশের দাম কম দাম হওয়ায় নিশ্চয় কোনো সমস্যা রয়েছে।

বাগেরহাট বাজারের একাধিক মাছ বিক্রেতা জানান, এসব জাটকা ইলিশ ইলিশ স্বাস্থ্যসম্মত নয়। একশ্রেণির প্রতারক পচা এসব জাটকা ইলিশ জেলেদের কাছ থেকে কম দামে কিনে সোডার পানিতে রেখে টাটকা করে । পরে তা বরফের মধ্যে ও কোল্ডস্টোরে রেখে দেয়। সরকারের জাটকা ইলিশ বিরোধী অভিযান শেষ হলে বা বাজারে মাছের সরবরাহ কমে গেলে দাম ঊর্ধ্বমূখী হলে প্রতারক চক্রটি কম দামে শহরসহ গ্রামগঞ্জে ঘুরে মাইকিং করে লোকজন দিয়ে এসব মাছ বিক্রি করে।

সোডা দিয়ে টাটকা করে বরফে ও কোল্ডস্টোরে রাখায় এসব মাছ অনেক শক্ত হয়ে যায়। দরিদ্র ও সমাজের পিছিয়ে পড়া ক্রেতারা সহজেই বিক্রেতার প্রতারণা ধরতে পারে না।

আরও পড়ুন:


সুনামগঞ্জে বেহাল সড়ক সংস্কারের দাবিতে এলাবাসীর মানববন্ধন

হামাসের ঘাঁটিতে বিস্ফোরণ, ২ ফিলিস্তিনি যোদ্ধা নিহত

বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে চাচা-ভাতিজার মৃত্যু


অটোরিকশায় ঘুরে মাইকিং করে পিস করা ইলিশ মাছ কিশোর জানান, খুলনার হিমায়িত মাছ কোম্পানি থেকে আমাদের দিয়ে কোটা ইলিশ বিক্রি করায়। আমরা দিন হিসাবে পারিশ্রমিকের টাকা পাই। তবে সে খুলনার হিমায়িত মাছ কোম্পানি নাম জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

বাগেরহাট ক্যাবের সভাপতি বাবুল সরদার জানান, বর্তমান বাজার দর অনুযায়ী ২০০ টাকা কেজি দরে ইলিশ মাছ বিক্রির প্রশ্নই ওঠে না। তবে, কোনো প্রতারক চক্র খাবার অযোগ্য ইলিশ কম দামে বাজারে বিক্রি করে করতে পারে। কেন এত কমদামে এই ইলিশ বিক্রির বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে স্থানীয় প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগের প্রতি আহ্বান জানান।

বাগেরহাট সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ফেরদাউস আনছারি জানান, বাগেরহাট ও খুলনা শহরে মাইকিং করে কোটা ইলিশ বিক্রি করছে কেউ কেউ। এর পরিমাণ খুব কম। আমাদের ধারণা কোল্ডস্টোরে থাকা দীর্ঘ দিনের ইলিশ মাছ এভাবে কম দামে বিক্রি করা হচ্ছে। আমরা এই কোটা ইলিশের স্যাম্পল সংগ্রহের চেষ্টা করছি। স্যাম্পল সংগ্রহ করে এই ইলিশ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যদি মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হয়, তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

news24bd.tv তৌহিদ