ভারতে নারী ও পুরুষের কনডমে আগ্রহ নেই : সমীক্ষা

ভারতে নারী ও পুরুষের কনডমে আগ্রহ নেই : সমীক্ষা

অনলাইন ডেস্ক

ভারতে পুরুষরা কনডম ব্যবহারে আগ্রহী নয়। দেশটির ২০ থেকে ২৪ বছর বয়সী যে সকল পুরুষরা নিয়মিত যৌন সম্পর্কে লিপ্ত তাদের ৮০ শতাংশই কনডম ব্যবহার করেন না। বিপরীতে মহিলাদের ক্ষেত্রে মাত্র ৩ শতাংশ মহিলা কনডম ব্যবহারে ইচ্ছুক।  মাত্র ১৩ শতাংশ পুরুষ এবং ৩ শতাংশ মহিলা যৌন সম্পর্কে সব সময় কনডম ব্যবহারে আগ্রহী।

সম্প্রতি সমীক্ষায় এমনই তথ্য উঠে এসেছে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কয়েক বছর ধরে ‘কনডমোলজি’র সমীক্ষা চলছে। তবে এরখম সমীক্ষা ভারতে এবারই প্রথম। আর সেই সমীক্ষাতেই ভারতীয়দের কনডম ব্যবহারের বিষয়ে বেশ কিছু তথ্য এসেছে।

‘কনডমোলজি কী? : কনজিউমার, কনডম অ্যান্ড সাইকোলজি- এই শব্দত্রয়কে সংক্ষিপ্ত করেই বানানো হয়েছে ‘কনডমোলজি’। কনডম মার্কেটের একটি অংশীদার এবং তাদের সহযোগী কোম্পানিগুলো একত্রে ‘কনডম অ্যালায়েন্স’ নামে একটি টিম করেছে। এই টিম কনডম ব্যবহারের বিষয়ে সমীক্ষা চালানোর পর পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে।

জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, অবাঞ্ছিত গর্ভধারণ এড়ানো ও সুস্থ যৌন-স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য কনডম ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৬৫ শতাংশেরই বয়স ২৪ বা তার নীচে। অথচ বিশাল জনবহুল এ দেশটিতে কনডম ব্যবহারের উৎসাহ একদম তলানিতে।

সমীক্ষা থেকে যেসব তথ্য উঠে এসেছে :
২০-২৪ বছরের মধ্যে যেসকল পুরুষরা যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হন তাদের ৮০ শতাংশই শেষ বার শারীরিক সম্পর্কের সময় কনডম ব্যবহার করেননি।
ভারতে কনডম ব্যবহারের হার মাত্র ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। দেশটিতে সামাজিক ভাবধারা এবং নীতি-নৈতিকতার কারণে কনডম ব্যবহারের হার এত তলানিতে।

বিয়ের আগে সহবাসের সময় মাত্র ২৭ শতাংশ পুরুষ এবং ৭ শতাংশ মহিলা কনডম ব্যবহার করেছেন।

মাত্র ১৩ শতাংশ পুরুষ এবং ৩ শতাংশ মহিলা যৌন সম্পর্কে সব সময় কনডম ব্যবহারে আগ্রহী। (৮৭ শতাংশ পুরুষ এবং ৯৭ শতাংশ মহিলা কনডম ব্যবহারে আগ্রহী নয়)।

ভারতে সরকারিভাবে যৌন-স্বাস্থ্য এবং কনডম সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির প্রচার চালানোর পরও গত কয়েক বছরে কনডম বিক্রির হার মাত্র ২ শতাংশ বেড়েছে।

২০১৪-১৫ সালে দেয়া ‘ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভে-৪’র (এনএফএইচএস ৪) তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে, যৌনতা সম্পৃক্ত প্রশ্নে পশ্চিমা দেশের যুবক-যুবতীর সঙ্গে ভারতের যুবক-যুবতীদের মধ্যে বিশাল সাংস্কৃতিক ও সামাজিক পার্থক্য রয়েছে। তবে এর জন্য সচেতনতাকেই দায়ী করা হয়েছে।  

news24bd.tv/আলী