বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। এই ফেসবুকেই পরিচয় হয় এক গৃহবধূর সঙ্গে টুকান দাসের। পরিচয়ের সূত্রে দুজনের মাঝে গড়ে ওটে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক। কিন্তু কিছুদিন ধরেই পরকীয়া সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছিলেন ওই গৃহবধূ।
এতে আহত হয়েছে ৩ জন পুলিশকর্মী।
এই ঘটনা ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুরে।
বারুইপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা টুকান দাস। ফেসবুকে স্থানীয় এক গৃহবধূর সঙ্গে তার আলাপ হয়। সেখান থেকেই প্রেম। রীতিমতো ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন তারা। কিন্তু কিছুদিন ধরেই পরকীয়া সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছিলেন ওই গৃহবধূ।
বারুইপুর থেকে নরেন্দ্রপুরে বাপের বাড়িতে চলে এসেছিলেন দুই মাস আগে। টুকানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে তার মোবাইল নম্বরটিও ব্লক করে দিয়েছিলেন ওই গৃহবধূ। তবে প্রেমিকার এই আচরণ মেনে নিতে পারছিল না টুকান।
এরপর ফেসবুকে দুইজনের বেশ কয়েকটি অন্তরঙ্গ ছবি পোস্ট করে দেয় টুকান। এমনকি ওই গৃহবধূর শ্বশুরবাড়িতে গিয়েও হুমকি দেয় সে। এরপর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা ঘটনা জানিয়ে ওই গৃহবধূকে প্রেমিকের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেয়।
পরে বারুইপুর থানার অভিযোগ করতে যাচ্ছিলেন ওই গৃহবধূ। তবে রাজপুর বাজারের কাছে রাস্তা থেকে বন্দুক দেখিয়ে ওই গৃহবধূকে অপহরণ করে টুকান। খবর পেয়ে টুকানে বাড়িতে যায় পুলিশ। প্রথমে পুলিশকে বাধা দেয় টুকান। পরে শূন্যে গুলি চালিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। আহত হয় তিন পুলিশকর্মী।
news24bd.tv/আলী
