আল্লাহর সঙ্গে নাফরমানির জন্য যে শোচনীয় পরিণতি ভোগ করতে হবে

আল্লাহর সঙ্গে নাফরমানির জন্য যে শোচনীয় পরিণতি ভোগ করতে হবে

অনলাইন ডেস্ক

আল্লাহ বলেন, নিশ্চিতই যারা অস্বীকারকারী (কাফের) হয়েছে তাদেরকে আপনি ভয় প্রদর্শন করুন আর নাই করুন তাতে কিছুই আসে যায় না, তারা ঈমান আনবে না। আল্লাহ তাদের অন্তকরণ এবং তাদের কানসমূহ বন্ধ করে দিয়েছেন, আর তাদের চোখসমূহ পর্দায় ঢেকে দিয়েছেন। আর তাদের জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি। (সূরা বাক্বারা: আয়াত ৬-৭)

উপরোক্ত আয়াতের মর্মার্থ এই নয় যে, আল্লাহ পাক তাদের যাবতীয় শক্তি রহিত করে তাদেরকে হিদায়েত থেকে বঞ্চিত করেছেন; বরং প্রকৃত অবস্থা হলো- মানুষকে আল্লাহ ইচ্ছা শক্তি ও বিবেক-বুদ্ধি দান করেছেন।

মানুষ যাতে স্বাধীনভাবে যে কোনো কাজ করতে আল্লাহ পাকের সাহায্য চায়। মানুষের দুনিয়ার এ কর্ম স্বাধীনতা হলো পরীক্ষা ক্ষেত্র যারা সৎকাজ করবে তারা পুরষ্কৃত হবে। আর মন্দ কাজের জন্য তাকে শাস্তি ভোগ করতে হবে।

উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় তাফসিরে ইবনে কাছিরে হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাসের বর্ণনায় এসেছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর একান্ত আকাঙ্ক্ষা ছিল, যেন সারা দুনিয়ার মানুষ আল্লাহর প্রতি ঈমান বা বিশ্বাস স্থাপন করে।

কিন্তু আল্লাহ তাআলা এ আয়াত দ্বারা ঘোষণা করলেন, ঈমান আনার সৌভাগ্য সবার হবে না।

সৃষ্টি হয়ে স্রষ্টার অস্তিত্বকে অস্বীকার করা, তাঁর অনন্ত অসীম নিয়ামাত ভোগ করে সেই মহান দাতাকে অবিশ্বাস করে, তাঁর দান-অনুগ্রহ ব্যবহারের নিয়ম-কানুন, রীতি-নীতি পদ্ধতি মেনে চলতে অস্বীকার করা মানুষের অবনতি-অধ:পতন ছাড়া আর কিছুই নয়। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আকাঙ্ক্ষার বিষয়ে আল্লাহ বলেন, আপনি যতই সুসংবাদ আর দুঃসংবাদই দেন না কেন, তারা ঈমান আনয়ন করবে না। তারাই কঠিন ও কঠোর শাস্তির সম্মুখীন হবে সে কথাই অত্র আয়াতদ্বয়ে উল্লেখ করা হয়েছে।

শাস্তির ধরণ সম্পর্কে বলা হয়েছে- প্রত্যেক অবিশ্বাসী কাফেরকে একশত চর্ম প্রদান করা হবে, প্রত্যেক চর্মের উপর বিভিন্ন প্রকার আজাব হতে থাকবে এবং প্রত্যেক দিন ৭০ হাজার বার চর্ম পরিবর্তন করা হবে। (তাফসিরে ইবনে কাসির)

হজরত মুয়াজ ইবনে জাবাল রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, এ আয়াতের মর্মার্থ হলো- প্রতি ঘণ্টায় একশত বার দোজখীদের চর্ম পরিবর্তন করা হবে।

আরও পড়ুন


বাংলাদেশ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সহ-সভাপতি নির্বাচিত

বিশ্বনবীর যে মুজিজা দেখে ইসলাম গ্রহণ করে বেদুঈন

৬ দফার মাধ্যমেই বাঙালির স্বাধীনতা অর্জিত হয় : প্রধানমন্ত্রী

হামাসের রকেট পুরো ইসরায়েলকে বিপদের মুখে ফেলেছে : মার্কিন বিশ্লেষক


আয়াতের শিক্ষা

যারা স্রষ্টা ও পালনকর্তার পৃথিবীতে বাস করে তারই অস্তিত্বের অস্বীকার করে, তাঁর বিধি-নিষেধ উপেক্ষা করে, স্বীয় দম্ভ ও অহমিকা প্রকাশ করে, তারা মানবতার কলংক হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করে। আল্লাহ তাআলা মুসলমান ঈমানদার বান্দাদের কল্যাণে দুনিয়ার সব বিপর্যয়ের মধ্যেও ঈমানের উপর আল্লাহ অস্তিত্বের উপর অটল-অবিচল থাকার জন্য অবিশ্বাসীদের অবস্থা কেমন হবে তা তুলে ধরেছেন।

আল্লাহ তাআলা সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে অহংকার, অহমিকা, অবাধ্যতা এক কথায় সব পাপাচার থেকে নিজেকে হেফাজত করুন এবং দুনিয়া পরিপূর্ণ ঈমানের অধিকারী ও আখিরাতের কল্যাণ লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।

news24bd.tv আহমেদ