ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প

দশ বছরে ৪ বার পিছিয়েছে সময়সীমা, অগ্রগতি মাত্র ২৬ ভাগ (ভিডিও)

Other

দশ বছরে ৪ বার সময় পিছিয়েও ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের অগ্রগতি মাত্র ২৬ ভাগ। নতুন সময়সীমা অনুযায়ী আগামী দু’বছরে শেষ করতে হবে বাকী ৭৪ ভাগ কাজ। তারপরও-সব জটিলতা কাটিয়ে এই সময়ের মধ্যে প্রকল্প শেষের ব্যাপারে আশাবাদী প্রকল্প পরিচালক। তবে-তাতে সংশয় দেখছেন বুয়েটের অধ্যাপক ড. শামসুল হক।

করোনার মধ্যেও এমন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে রাজধানীর অন্যতম মেগা প্রকল্প ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের কাজ। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে করোনার সঙ্গে অনেকটা খাপ খাইয়ে ধীরে হলেও এগুচ্ছে প্রকল্প।

রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত প্রকল্প এলাকায় এখন এমন কর্মতৎপরতা। রাজধানীর বনানী থেকে কমলাপুরের দিকে রেললাইনের দু’পাশ ধরে এগুচ্ছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের নির্মাণযজ্ঞ।

কিন্তু প্রত্যাশা অনুযায়ী এগোয়নি কাজ।

বিমানবন্দর থেকে বনানী পর্যন্ত প্রথম অংশ শেষ হয়েছে ৬৩ ভাগ। বনানী থেকে মগবাজার পর্যন্ত দ্বিতীয় ভাগের অগ্রগতি মাত্র ১৭ শতাংশ আর তৃতীয় অংশ মগবাজার থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত এগিয়েছে মাত্র ৯ ভাগ। সব মিলিয়ে-প্রকল্পের অগ্রগতি ২৬ ভাগ।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের পরিচালক এম এইচ এম সাখাওয়াত হোসেন জানান, করোনার মধ্যেও থেমে নেই এই প্রকল্পের কাজ। পুরোদমে প্রকল্প সম্পন্ন করতে কাজ চলছে। তিন ধাপে প্রকল্পের কাজ এগোচ্ছে বলেও জানান তিনি।

২০১১ সালে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, প্রকল্প শেষের টার্গেট ছিল ২০১৭ সাল। কিন্তু বাস্তবে কাজই শুরু হয় ২০১৬ সালে। শেষমেষ চারবার সময় বেড়ে এখন প্রকল্প শেষের নতুন লক্ষ্য ২০২৩ সালের জুন।

প্রকল্প পরিচালক আরও জানান, ২০২৩ সালের জুনেই প্রকল্প শেষের টার্গেট রয়েছে। সেই অনুযায়ীই কাজ এগিয়ে চলছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে সব ধরণের চেষ্টায় চলছে বলেও জানান তিনি।

আরও পড়ুন


ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা বিভাগের প্রধান হলেন শতরূপা বড়ুয়া

বিএনপির বহুদলীয় গণতন্ত্র ছিলো বহুদলীয় তামাশা: ওবায়দুল কাদের

টগর হত্যা মামলা: ২৭ বছর পর মূল আসামিসহ ১৮ জনকে খালাস

বিয়ের আসরে প্রেমিকাকে দেখে দৌড়ে পালালেন বর


আর গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. শামসুল হক বলছেন, ধীর গতিতে কাজ চলার কারণে ফ্রেমওয়ার্কগুলো দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। তবে তারা যে টার্গেটে কাজ করছে আর তাদের যে আয়োজন তা মনে হচ্ছে তা নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করতে পারবে।

প্রায় ১৯.৭৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এই উড়াল সড়কে বিভিন্ন জায়গায় ওঠানামার জন্য থাকছে ৩১টি র‌্যাম্প। সব মিলিয়ে ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটারের এই এক্সপ্রেসওয়ে শেষ হলে প্রতিদিন ৮০ হাজার যানবাহন চলবে বলে আশা। যাতে রাজধানীতে স্বস্তি ফেরার আশায় কর্তৃপক্ষ।

news24bd.tv আহমেদ

সম্পর্কিত খবর